সাতক্ষীরা লাইভ: সাতক্ষীরায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ওই স্কুলছাত্রীর নাম মাইমুনা ইয়াসমিন (১৬)। বুধবার (১ জুন) ভোররাতে শহরের কাটিয়া লস্করপাড়ায় নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
মৃত মাইমুনা নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল এবং কাটিয়া লস্করপাড়ার আজিজুর রহমানের মেয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়েটির এক বান্ধবী ক্যাম্পাসলাইভকে জানায়, হৃদয় নামের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাইমুনার। সম্পর্কের এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ছেলেটিকে বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু ছেলেটি বিয়ে করতে রাজি হয় নি। পরে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ধারণা করছি লোকলজ্জার ভয়ে মাইমুনা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা আজিজুর রহমান ধর্ষনের অভিযোগে গত ৯ মে ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় হোসেনকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগীর বাবা আজিজুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমার মেয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে হৃদয় হোসেন নামের একটি ছেলে মাইমনা ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করে। এরপর স্কুলে গেলে অন্য মেয়েরা হাসিঠাট্টা করছে, বলে তোকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া এলাকার মানুষও এটা নিয়ে হাসি তামাশা করায় ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করেছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহরের কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মাইমুনা ইয়াসমিনকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৯ মে তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দেন মেয়েটির বাবা আজিজুর রহমান। মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় হোসেনকে আটক করা এখনো সম্ভব হয়নি। বাকি দুই আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তদন্তে যেটা জেনেছি ছেলেটি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি গোলাম কবির ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগেই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
ঢাকা, ০১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আইকে//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: