রাজশাহী লাইভ: রাজশাহী তানোরের একটি কলেজের অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় প্রিন্সিপালকে পিটিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা। ওই প্রিন্সিপালের নাম ইমারত আলী। সে সরনজাই ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী আব্দুল মালেক উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদেরও চেম্যানম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে নবীনবরণ, বিদায় ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে সরনজাই ডিগ্রি কলেজ। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. একরামুল হকের সভাপতিত্বে চলছিল অনুষ্ঠান।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক অনুসারীদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। তাকে কেনো ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জানতে চান।
এক পর্যায়ে সভামঞ্চে উঠে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনেন প্রিন্সিপালকে। তাকে মঞ্চের নিচে ফেলে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। এসময় ওই আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীরা মঞ্চে তাণ্ডব চালায়। এতে পণ্ড হয়ে যায় ওই আয়োজন। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে সটকে পড়েন হামলাকারীরা।
সরনজাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইমারত আলী জানান, কারা অতিথি থাকবেন এটা নির্ধারণ করে পরিচালনা কমিটির সভাপতি। চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক পরিকল্পিত ওই হামলা চালিয়েছেন।
বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে জানিয়েছেন। এনিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান। এ কারণে পুরো ইউনিয়নবাসী তাকে সম্মান করে। কিন্তু অধ্যক্ষ তাকে এড়িয়ে চলেন। মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে অধ্যক্ষের চলার অনেক দোষ রয়েছে বলে তিনি তাকে সাবধান করেছেন মাত্র।
ঢাকা, ২৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: