লাইভ প্রতিবেদকঃ নুর মোহাম্মাদ নিশাত (১৮)। বগুড়া সদরের খান্দার গ্রামে বাড়ি। অন্য আরও দশটা ছেলেদের মতে করেই কেটেছে তার বাল্যকাল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলায় তার বাবা-মা তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর তার ভাগ্যের চাকা মোড় নেয় অন্যদিকে।
সদা হাস্যজ্জ্বল এই বালকের জীবন তিলে তিলে হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। আর এখন অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে না পারায় জীবনমরণের এক সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছে সে।
নূরের বয়স যখন ১২ বছর তখন তার বাবা-মা তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে নূরের খোঁজ-খবর নেয়ার মত কেউ ছিল না। কাছের মানুষ বলতে একমাত্র নানাই ছিল তার আশ্রয়। নানার অস্বচ্ছল পরিবারে বেড়ে উঠে সে। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতা তার স্বপ্নকে কেড়ে নেয়।
নানা-নানির কষ্ট দেখে এলাকার একটি থাই গ্লাসের দোকানে কাজ শুরু করে নূর। এতেও যেন বিধি বাম। আট মাস আগে কাজে যাওয়ার পথে একদিন সড়ক দূর্ঘটনায় তার কোমরের হাড় বেঁকে মূত্রনালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে স্বাভাবিকভাবে প্রসাব করা বন্ধ হয়ে যায় তার। এরপর থেকে কোনো রকমে বিছানায় শুয়ে-বসেই দিন কাটছে তার। খুব কষ্টে হাঁটাচলা করতে পারে সে।
কৃত্রিমভাবে প্রসাব করানোর জন্য তার পেটে আলাদা পাইপ ঢুকানো হয়েছে। প্রতি মাসে নতুন পাইপ লাগাতে হয়। এতে খরচ হয় দুই হাজার টাকা।
নূরের নানা জামরুল ইসলাম জানান, প্রতিমাসে পাইপ লাগানোর খরচ জোগাতেও হিমশিম খেতে হয় তাকে। যতটুকু পারি চিকিৎসা করিয়েছি। অপারেশন করার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে বলেছেন। এজন্য এক লাখ টাকার প্রয়োজন। যা জামরুল ইসলামের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের হৃদয়বানদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
নূরকে সাহায্য পাঠাতে জামরুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৭৫৪৩২৯০৯৬) যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া ০১৭৫৬-০৫০০৯৪ নম্বরে বিকাশে টাকা পাঠানো যাবে।
ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: