পাবনা লাইভ : সাঁথিয়ায় দুর্বৃত্তদের পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ কলেজ ছাত্রী মুক্তি খাতুনকে বাঁচানো গেল না। ৯ দিন যন্ত্রণায় ছটফট করে তিনি মারা গেছেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার মুক্তির ভাই নাছির উদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মুক্তির লাশ পাবনা নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট পাবনার সাঁথিয়ায় কলেজ ছাত্রী মুক্তি খাতুনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ৯ দিন পরও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তি খাতুনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বলেন, মামলা করায় বিভিন্নভাবে আসামিরা তাকে হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসবে বলে প্রচার করে আসছে। ভয়ে বাড়ি থেকে সাঁথিয়া থানায় পুলিশ প্রহরায় পুলিশের ভ্যানে যাতায়াত করছেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি নাগডেমরা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সালাম ও কেসমত আলীর ছেলে জাহিদ গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে গত ১৯ আগস্ট দুপুরে সালামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিবারের অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে যান।
হামলাকারীরা পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলের মেয়ে মুক্তি খাতুনকে (২২) ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চাচাতো বোন আফরোজা খাতুন (৩০) এগিয়ে আসলে তারা তাকেও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে ওই দিনই সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেন (নং ১৭)।
সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি সালাম ও জাহিদ পালিয়ে থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা, ২৮ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: