লাইভ প্রতিবেদক: শেখের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী শূন্যপদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা সভাপতির শাস্তির দাবিও তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে সভাপতি জাকির হোসেন জানান, অন্যান্য শিক্ষকেরা আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ২রা মে অফিস সহকারী পদ শূন্য হয়েছে। ওই পদে নিয়োগ দিতে কাগজপত্র প্রসেস করবেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তিনি আমার সময়ে প্রসেস করছেন না। কারণ ওই পদে তার (প্রধান শিক্ষকের) মনোনীত ব্যক্তি রয়েছেন।
সভাপতি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি দেড় বছর আগে সভাপতি হিসেবে আসার পর দেখতে পাই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, ফসলি জমি লিজ, টিআর প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই ঘটনায় ইউএনও’র নির্দেশে শিক্ষা অফিস তদন্ত করে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকসুদার রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দেইনি। আমাদের বেতন বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল।
অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, ‘বিদ্যালয়ে শূন্যপদ একটি। কিন্তু শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন প্রায় ১০ জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।’
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, ‘চলতি বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানোর পেছনে হয়তো কারও হাত থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তে করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঢাকা, ১২ অাগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: