এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বীরপ্রতীক লেফটেনেন্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৬ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারদের জন্য ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিম চালু করে। বৃত্তিটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকপূর্ব ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করা হয়। স্নাতকপূর্ব পর্যায়ের একজন ছাত্র/ছাত্রী চার বছরে জন্য প্রতি বছর ২৪,০০০ হাজার টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন ছাত্র/ছাত্রী দুই বছরের জন্য প্রতি বছর ১০,০০০ হাজার টাকা করে পান।
এখন পর্যন্ত ১০,৩৩৬ জন ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয়েছেন এবং এসকল ছাত্রছাত্রীদের ১৫ কোটিরও বেশি টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা থেকে মেধার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী বাছাই করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন যে, 'অভিন্ন ঐতিহ্য, ইতিহাস ও ভৌগোলিক বুনিয়াদের উপর আমাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের সহযোগিতা, গণতন্ত্রের আদর্শের প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার এবং মানবিক মূল্যবোধ আমাদের পরস্পরের প্রতি সহযোগী করে তুলেছে।
আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং এই বন্ধন টিকিয়ে রাখতে ও দৃঢ় করতে আমরা কাজ করবো যাতে আরও সুদৃঢ় হয় এবং আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।’
ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের পরে আগামী কয়েক সপ্তাহ জুড়ে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং রাজশাহীতেও একই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা, ১৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: