ঢাবি লাইভ: গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও গবেষণার গুরুত্ব বাড়াতে তরুণ ও মেধাবী মুখদের উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়াতে আয়োজন করা হচ্ছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। এর আগে এ ধরনের কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য মেলাটি আগামীকাল শনিবার শুরু হয়ে রোববার শেষ হবে। আয়োজকরা এমনটি জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, এই মেলায় অনুষদগুলোর জন্য ১০টি, ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য ১টি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য ১টিসহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এছাড়া ১টি কেন্দ্রীয় মঞ্চ থাকবে। মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা যেমন: গ্রন্থ, জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফ্লায়ার, ব্রুশিয়ার প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে।
উপাচার্য জানান, মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার অংশ নেবে ও প্রত্যেকের উপস্থাপনা থাকবে। প্রত্যেক অনুষদের প্যাভিলিয়নের সঙ্গে অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর ১টি করে স্টল ও ইনস্টিটিউটের প্যাভিলিয়নের সঙ্গে প্রত্যেক ইনস্টিটিউটের ১টি করে স্টল থাকবে।
জানাগেছে, মেলায় প্রদর্শন করা হবে ঢাবির শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ হওয়া প্রকাশনাসহ ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রতিবেদন, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার বা ব্রুশিয়ার। থাকবে বিভিন্ন অনুষদের ১০টি ও ইনস্টিটিউটের একটি প্যাভিলিয়নে ৮৩ বিভাগ এবং ১২ ইনস্টিটিউটের স্বতন্ত্র স্টল।
প্রকাশনা সংস্থার একটি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটিসহ ১৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চও থাকবে। মেলায় নানা আয়োজন নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন। এর মধ্যে ফার্মাসি অনুষদের প্যাভিলিয়নে করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হবে উল্লেখ করে ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, আমরা ওষুধ তৈরি ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে 'বঙ্গভ্যাক্স' সম্পর্কে জানতে আগ্রহী দেশবাসী।
এ ছাড়া নতুন নতুন উদ্ভাবন, বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তুলে ধরব। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, আমাদের প্রতিপাদ্য 'জীবনের মানবীয় রূপ, উদ্ভাবনী জ্ঞানচর্চা'। এতে এ অনুষদের বিস্ময়কর অবদান আছে। মানবিকের গবেষক হয়তো নতুন কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন না।
তবে তাঁরা আচরণিক পরিবর্তন ও সামাজিক কাঠামো বদলের কাজ করছেন। এরই বহিঃপ্রকাশ থাকবে মেলায়। আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের ৫ বিভাগের ৫টি স্টলে মিনারেল রিসোর্সেস, বিভিন্ন ভূগর্ভস্থ পানি, সুপেয় পানি, দুর্যোগের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, কীভাবে দুর্যোগ প্রশমন করতে হবে- এই বিষয়গুলো দেখানো হবে বলে আশা রাখি।
এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদ বলেন, আমাদের কাজ যেহেতু বিজ্ঞান নিয়ে; তাই কী ধরনের গবেষণা আছে, কোনগুলো চলমান- এসব দেখানো হবে।
দু'দিনব্যাপী এ মেলার প্রথম দিনে কলা, বিজ্ঞান, আইন, বিজনেস স্টাডিজ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে।
সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান, ফার্মাসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। এ ছাড়া সব ইনস্টিটিউটের পক্ষে একটি এবং গবেষণা কেন্দ্র ও ব্যুরোর পক্ষে একটি উপস্থাপনা থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বহিরাগতরা এই মেলায় আসতে পারবেন।
ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: