Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবি প্রফেসরের নেতৃত্বে গবেষণা, সহজেই সনাক্ত ক্যান্সার!

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বার ২০১৮, ১৮:৫৮

লাইভ প্রতিবেদক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে ক্যান্সার শনাক্তকরণের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক নন-লিনিয়ার অপটিকস গবেষণায় এই সাফল্য পেয়েছেন। ড. ইয়াসমিন হক জনপ্রিয় লেখক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী।

জানা গেছে, শাবি প্রফেসরের নতুন গবেষণার মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত করার বিষয়টি এখন সম্ভব হবে। যেটি আগে কল্পনাও করা যেত না। ইতোমধ্যে এ গবেষণার ফলের পেটেন্টের জন্য একযোগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ পদ্ধতিতে একজন রোগীর দেহে কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি প্রবেশ না করিয়ে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে নতুন একটি পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য ক্যান্সারের ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষার সস্তোষজনক ফলাফল পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘Method and system based on non-linear optical characteristics of body fluids for diagnosis of neoplasia’ শীর্ষক একটি পেটেন্টের আবেদন একযোগে বাংলাদেশ ও ইউএসএ পেটেন্ট অফিসে জমা দেয়া হয়েছে গত ৯ জুলাই। এই নতুন পদ্ধতি আগে কখনোই কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। কাজেই আশা করা যায়, ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের সম্পূর্ণ নতুন একটি পদ্ধতি হিসেবে এটি সম্ভাবনার নতুন একটি দ্বার উন্মোচন করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় শাবি প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে এক দল গবেষক নন-লিনিয়ার অপটিকস গবেষণায় ক্যান্সার শনাক্তকরণের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ উদ্ভাবন সম্পর্কে জানাতে বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে হেকেপ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ উদ্ভাবনের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন।

গবেষকদলের প্রধান প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক বলেন, এই গবেষণা মূলত ক্যান্সার নির্ণয়ের সহজ একটা পদ্ধতি বের করার জন্য। আমরা হেকেপের সহায়তায় এই ভিন্নধর্মী গবেষণা করেছি। হেকেপের দেশি-বিদেশি স্পেশালিস্টরা এ গবেষণা দেখার পরই তা ইউএসএ পেটেন্টের জন্য আবেদনের আগে কাউকে না জানানোর জন্য বলেন। কারণ এ ধরনের গবেষণা বিশ্বে প্রথম। নিশ্চয়ই এ গবেষণার গুরুত্ব আছে বলেই তারা পেটেন্টের জন্য আবেদন করতে বলেছেন। তবে এ বিষয়ে আরও অনেক উচ্চতর গবেষণা প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, এ উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগাক্রান্ত রোগীদের রক্তে এমন কিছু একটা অনুসন্ধান করে বের করা সম্ভব হবে, যার নন-লিনিয়ার ধর্মটি ক্যান্সার রোগের সম্ভাব্যতার একটি ধারণা দেবে। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে শুধু ক্যান্সার রোগাক্রান্ত রোগীদের রক্ত নয়, অন্য যেকোনো স্যাম্পলের নন-লিনিয়ার ধর্ম খুবই সহজে সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ‘নন-লিনিয়ার অপটিকস ব্যবহার করে বায়োমার্কার নির্ণয়’ শীর্ষক প্রকল্পটি হেকেপের আওতায় সিপি-৪০৪৪ হিসেবে গৃহীত হয়। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নন-লিনিয়ার বায়ো-অপটিকস রিসার্চ ল্যাবরেটরি নামে একটি নতুন ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হয়। এ ল্যাবরেটরিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের রক্তের সিরামে শক্তিশালী লেজার রশ্মি পাঠিয়ে নন-লিনিয়ার ধর্মের সূচক পরিমাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়ায় যে বাড়তি রি-এজেন্ট ব্যবহার করতে হয়, শাবিপ্রবিতে উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতিতে তার কিছুরই প্রয়োজন হয় না।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এই নন-লিনিয়ার অপটিকস রিসার্চ গ্রুপটি গবেষণার ব্যাবহারিক দিক নিয়ে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রুপটি হেকেপের উইন্ডো ফোরের আওতায় ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রি সমন্বিত গবেষণার জন্য একটি উদ্ভাবনীমূলক পরিকল্পনা জমা দেয়।

ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ