Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

মসজিদে নববীর খুতবায় ইমাম যা বললেন...

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ০৪:২০

আনম রশীদ আহমাদ: সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি চিরঞ্জীব, নিজ থেকে প্রতিষ্ঠিত, যাঁর মৃত্যু নেই। সকল কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তাঁর। আমি তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁরই কৃতজ্ঞতা আদায় করি। আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চাই।

আল্লাহকে ভয় করুন, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন ও তাঁর অবাধ্যতা বর্জনের মাধ্যমে। তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয় আপনার জীবনের সকল বিষয়ের সংশোধনের মাধ্যম। ভবিষ্যতের যেসব ব্যাপারে ভয় করছেন, তা থেকে সুরক্ষার উপায়। ধ্বংস থেকে বাঁচার দুর্গ। তাকওয়ার মাধ্যমেই আল্লাহ প্রতিশ্রুত জান্নাত লাভ করা যাবে।

হে আল্লাহর বান্দাগণ! পৃথিবীর জীবনের কল্যাণ ও সফলতার জন্য সকলেই চেষ্টা করে। যে জীবনের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির চেষ্টার সাথে দীনের পরিশুদ্ধির চেষ্টা করে তারা তো সেই সৌভাগ্যবান, যাদেরকে আল্লাহ পৃথিবীর জীবনে কল্যাণ দিবেন, পরকালেও কল্যাণ দিবেন। আর মুক্তি দিবেন জাহান্নাম থেকে। আর যে শুধু দুনিয়ার কল্যাণের জন্য চেষ্টা করে, তার আখিরাত ধ্বংস হবে। এ ধরনের লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘যারা ভোগ-বিলাসে মত্ত, তারা খায় জš‘-জানোয়ারের মতো, জাহান্নামই তাদের শেষ নিবাস।’ (মুহাম্মাদ: ১২)


পবিত্রতা মহান আল্লাহর, যিনি প্রত্যেককে ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। এ ইচ্ছাশক্তির ভিত্তিতে সে যা চায় তা করে, আবার যা চায় বর্জন করে। তবে সকল ইচ্ছাই আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। ‘তারা তো তাই চায়, যা চান বিশ্বজাহানের রব।’ আল্লাহ যা চান, তা হয়; তিনি যা চান না, তা হয় না।

মৃত্যু পৃথিবীর সকল সৃষ্টির চূড়ান্ত পরিণতি। পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবনের শেষটা হলো মৃত্যু। আল্লাহ সকল সৃষ্টির মৃত্যুকে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এমনকি ফেরেশতারাও মারা যাবে। জিবরীল, মিকাঈল, ইসরাফীল মারা যাবেন। মৃত্যুর ফেরেশতাও মারা যাবেন।
আল্লাহ বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব নি:শেষ হয়ে যাবে, টিকে থাকবে শুধু তোমার রবের মুখন্ডল।’ (আর-রাহমান: ২৭)

মৃত্যু হলো দুনিয়ার জীবনের শেষ আর পরকালীন জীবনের শুরু। মৃত্যুর মাধ্যমে পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাসের পরিসমাপ্তি ঘটবে। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে রয়েছে হয় আল্লাহর মহান নেয়ামাত অথবা পীড়াদায়ক শাস্তি। মৃত্যু আল্লাহর কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার একটি নিদর্শন।

আল্লাহ বলেন, ‘তিনি নিজ বান্দাহদের ওপর পূর্ণমাত্রায় কর্তৃত্বশীল, তিনি তোমাদের ওপর পাহারাদার নিযুক্ত করেন। এমনকি তোমাদের কারো যখন মৃত্যু এসে যায়, তখন আমার পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতারা তার জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেয়। তারা দায়িত্ব পালনে ভুল করে না।’ (আন‘আম: ৬১)

মৃত্যু আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতার একটি নিদর্শন। তাঁর সকল সৃষ্টিরই জীবনের পরিসমাপ্তি হলো মৃত্যু। এর ব্যতিক্রম কেউ নেই। তিনি বলেন, ‘সকল সত্তাই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী, অত:পর আমার দিকেই তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে।’ (আলে ইমরান: ৫৭)

মৃত্যু জীবনের সকল স্বাদ-আহ্লাদকে নি:শেষ করে দেয়। শরীরের স্পন্দনকে থামিয়ে দেয়। আপনজনদের কাছ থেকে আলাদা করে দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই তোমাদের জীবন দান করেন, তিনিই মৃত্যু ঘটান। রাত-দিনের আবর্তনেও তাঁরই কর্তৃত্ব। তোমরা কি অনুধাবন করো না?’ (মুমিনুন: ৮০)

মৃত্যুকে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী আটকাতে পারে না। মৃত্যু থেকে কেউ বাঁচতে পারে না কী ছোট, কী বড়, ধনী বা দরিদ্র। আল্লাহ বলেন, ‘তেমারা যেখানেই থাকো না কেন, মৃত্যু তোমাদেরকে পাবেই, যদিও বা তোমরা অবস্থান করো সুদৃঢ় দুর্গে।’ (নিসা: ৭৮)
আল্লাহ আরো বলেন, ‘বলো, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছ, সে মৃত্যু তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করবে। অত:পর তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে তাঁর কাছে, যিনি দেখা-অদেখা সব বিষয়ে অবহিত। তিনি তোমাদেরকে বলে দিবেন, তোমরা যা করতে।’ (জুমু‘আহ: ০৮)

মৃত্যু হঠাৎ করে চলে আসে। আল্লাহ বলেন, ‘কারো আল্লাহ নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে, তখন আল্লাহ তাকে এক মুহূর্তেরও অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কিছু করছো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন।’ (তাগাবুন: ১১) নবীগণ ছাড়া মৃত্যু আর কারো কাছে এসে অনুমতি চাইবে না। নবীগণের কাছে অনুমতি চাওয়া এটি তাঁদের বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেক নবীকে স্থায়ীভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা ও জান্নাতে যাওয়া এবং জীবন ও মৃত্যুর কোনো একটিকে গ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তাঁরা সকলেই মৃত্যুকে গ্রহণ করেছেন।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আখিরাতে আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত মর্যাদা ছেড়ে কেউ পৃথিবীতে পুনরায় আসতে চাইবে না। তবে শহীদ এর ব্যতিক্রম। সে তাকে প্রদত্ত সম্মান ও মর্যাদা দেখে আকাক্সক্ষা করবে পৃথিবীতে ফিরে আসতে এবং দশবার শহীদ হতে।’ (বুখারী ও মুসলিম) মৃত্যু একটি বিপদ, একটি ভয়াবহ যন্ত্রণা। মৃত্যুর ফেরেশতা কর্তৃক যখন রূহ টেনে বের করা হয়, তখন খুবই যন্ত্রণা অনুভূত হয়।

আয়িশা (রাদি‘আল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর সময় একটি পানির পাত্রে হাত ডুবিয়ে মুখমন্ডল মুছেছেন আর বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! মৃত্যুর যন্ত্রণার এ মুহূর্তে আমাকে সাহায্য করো।’ (তিরমিযী)

যে সবসময় মৃত্যুকে স্মরণ করে, তার অন্তর কোমল হয়। তার আমল ও অবস্থা পরিশুদ্ধ হয়। সে আল্লাহর অবাধ্যতা করার সাহস পায় না। শরীয়াহ নির্ধারিত ফরয তথা অবশ্যকরণীয় কাজগুলোর ক্ষেত্রে অবহেলা করে না। পার্থিব জীবনের চাকচিক্য তাকে মোহচ্ছন্ন করতে পারে না। সে তার রব ও নেয়ামাতপূর্ণ জান্নাতের ব্যাপারে আগ্রহী হয়।

বিপরীত দিকে যে মৃত্যুকে ভুলে যায়, তার অন্তর হয়ে পড়ে রূঢ় ও কঠিন, সে দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তার আমল হয় মন্দ। আশা-আকাক্সক্ষা হয় দীর্ঘ। মৃত্যুর স্বরণ হলো সর্বোৎকৃষ্ট ওয়াজ। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সকল স্বাদ-আহলাদ বিনষ্টকারীকে বেশি বেশি স্মরণ করো।’ (তিরমিযী ও নাসায়ী)

উবাই বিন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের এক তৃতীয়াংশের পর ঘুম থেকে জেগে বলতেন, ‘হে লোকসকল! আল্লাহকে স্মরণ করো। কম্পন সৃষ্টিকারী এসে পড়েছে, তার পরই আসবে আরেকটি ধাক্কা। মৃত্যুও এসে পড়েছে।’ (তিরমিযী)

এ কথাগুলোর মাধ্যমে তিনি হঠাৎ করে আসা মৃত্যুকে বুঝিয়েছেন। সাহাবী আবুদ-দারদা (রা.) বলেন, ওয়ায়েজ হিসাবে মৃতুই যওথষ্ট। কেননা একজন লোক আজ তার ঘরবাড়িতে, আর আগামীকাল কবরে।

মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের মধ্যেই সফলতা। কেননা মৃত্যু হলো জান্নাতের প্রথম সোপান, অনুরূপ জাহান্নামেরও প্রথম সোপান। মৃত্যুর অন্যতম প্রস্তুতি হলো বিশ্বজাহানের রবের তাওহীদ তথা এককভাবে তাঁর ইবাদাত করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না বানানো।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার কাছে পৃথিবীসম পাপ নিয়ে আসো, আর আমার সাথে র্শ্কি না করো, তাহলে আমিও তোমার কাছে সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আসবো।’ (তিরমিযী)

মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতির আরেকটি উপায় হলো আল্লাহ প্রদত্ত সীমা রক্ষা করে চলা। আল্লাহ মুমিনদের প্রশংসায় বলেন, ‘তারা আল্লাহর সীমাসমূহ রক্ষাকারী।’

মৃত্যুর আরেকটি প্রস্তুতি হলো সকল ধরনের পাপাচার বর্জন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদেরকে যেসব বড় বড় অপরাধ ও পাপ থেকে নিষেধ করা হয়েছে তা পরিহার করো। আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দিবো এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবো।’
সৃষ্টির অধিকার রক্ষা মৃত্যুর প্রস্তুতির একটি উপায়। আল্লাহ র্শিক ছাড়া তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকার ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে তিনি সৃষ্টির হক ক্ষমা করবেন না। বরং যালিম থেকে মযলুমের অধিকার তিনি আদায় করে দিবেন।

সর্বক্ষণ ইসতিগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া মৃত্যুর প্রস্তুতির একটি উপায়।
প্রতিটি মুহূর্ত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে। কেননা মৃত্যু যে কোনো সময় আসতে পারে।

আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যাকে হেদায়াত দিতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্য প্রস্তুত করে দেন।’ এর ব্যাখ্যায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তার হৃদয়ে নূর তথা আলো ঢেলে দেন।’ সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এর আলামত তথা চিহ্ন কী? তিনি বললেন, ‘চিরস্থায়ী আবাসের প্রতি আগ্রহ আর পৃথিবীর মোহ থেকে দূরে থাকা।’
মৃত্যু আসার পূর্বেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যেন কল্যাণের ওপর মৃত্যু হয়।

মানুষের সকল কর্মের বিবেচনা হয় তার শেষ দেখে। মুয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার শেষ কথা হবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবূ দাউদ)

মৃতপ্রায় ব্যক্তির সামনে ধীরে শান্তভাবে কালিমার তালকীন দেয়ার তাকীদ দেয়া হয়েছে। তালকীন হলো মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে শুনিয়ে শুনিয়ে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা যেন এটি শুনে সেও বলতে পারে। এটি বলার জন্য তাকে চাপ দেয়া যাবে না। কারণ এটি তার জন্য খুবই কঠিন মুহূর্ত।

সৌভাগ্য হলো মৃত্যুকে স্মরণ করে তার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ। আর দুর্ভাগ্য হলো মৃত্যুকে ভুলে থাকা, তার জন্য প্রস্তুতি না নেয়া। পাপাচারে লিপ্ত থাকা। তাওহীদের অধিকার লঙ্ঘন করা। অন্যের ওপর যুল্ম-অবিচার করা। অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভোগ করা। মানুষের অধিকার খর্ব করা। আমৃত্যু পার্থিব ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকা। ঠিক এ অবস্থায় মৃত্যু এসে যাবে। তখন অনুতপ্ত হবে! কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘অবশেষে তোমাদের কারো মৃত্যু এসে যাবে, তখন সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিন, তাহলে আমি ছেড়ে দেয়া ভাল কাজ করবো। (তাকে বলা হবে) কক্ষণো নয়।’

মৃত্যুর পর কিয়ামাত দিবসে অনেকে আফসোস ও অনুতাপ করবে, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, তোমাদের অজান্তে তোমাদের ওপর অতর্কিতভাবে কোনো আযাব আসার আগে তোমাদের কাছে তোমাদের রব উৎকৃষ্ট যা নাযিল করেছেন, তার অনুসরণ করো। (অত:পর এমন যেন না হয়) কেউ বলবে, ‘হায়, আফসোস! আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে আমি দারুণ শৈথিল্য প্রদর্শন করেছি।

আমি তো ছিলাম ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের অন্তর্ভুক্ত। কিংবা এ কথা যেন না বলে, যদি আল্লাহ আমাকে হেদায়াত দান করতেন তাহলে আমি অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। অথবা আযাব সামনে দেখে কেউ বলবে যদি আমায় দুনিয়ায় পুনরায় পাঠানো হতো তাহলে আমি নেক বান্দাগণের মধ্যে শামিল হতাম।’ (যুমার: ৫৫-৫৮)

আপনারা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করুন। আল্লাহকে যারা ভয় করে চলে, তারাই সফলতা অর্জন করে। আর যারা এ ব্যাপারে উদাসীন, তারা ক্ষাতগ্রস্ত।

হে মুসলিমগণ! শেষ পরিণতি যেন উত্তম হয় এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন। শেষ পরিণতি উত্তম হওয়ার উপায় হলো ইসলামের রুকন তথা স্তম্ভগুলোর প্রতিষ্ঠা আর সকল অপরাধ ও পাপাচার পরিহার করা। উত্তম পরিণতির জন্য আল্লাহর কাছে সবসময় দু‘আ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দিবো।’

দু‘আ সকল কল্যাণের সেতুবন্ধন। সাহাবী নু‘মান বিন বশীর (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দু‘আই ইবাদাত।’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি যে দু‘আটি করতেন, ‘হে আল্লাহ! সকল বিষয়ে আমাদের উত্তম পরিণতি দাও। আমাদেরকে পৃথিবীর লাঞ্ছনা-অপমান এবং পরকালের আযাব থেকে রক্ষা করো।’

মৃত্যুর সময় মন্দ পরিণতির উল্লেখযোগ্য কারণ হলো আল্লাহ ও বান্দার অধিকার খর্ব করা। নিয়মিত পাপ করা, আল্লাহর অধিকার ও মর্যাদাকে গুরুত্ব না দেয়া, পরকালকে ভুলে গিয়ে পৃথিবীর প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়া।


শাইখ ড. আলী আবদুর রহমান আল-হুযাইফী
[মসজিদে নববী, মদীনা মুনাওয়ারা]

অনুবাদ: আ.ন.ম. রশীদ আহমাদ

 

ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ