লাইভ প্রতিবেদক: অবশেষে লাশ হয়ে ঘরে ফিরলেন গাইবান্ধার মেধাবী ছাত্রী জেসমিন। তার শেষ ইচ্ছা পুরণ হলো না। স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশা তছনছ হয়েগেছে। আর কোন দিন ফিরবেন জেসমিন আক্তার। বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডায়ও বসবেন না। চলে গেলেন ওপারে।
এর নেপথ্যে প্রতারক প্রেমিকই দায়। তার কারণে ভর্তি হতে পারলোনা । গর্ভপাত করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে। সব কিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। তাদের সংসারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান শাহরিয়ার জানান, ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তার আতিকের সম্পর্ক অনেকটা মিলেছে। তবে যেখানে গর্ভপাত করানো হয় সে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। নিহত জেসমিনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গাইবান্ধার সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের লেংগাবাজার গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান । তার আদরের মেয়ে জেসমিন আকতার গাইবান্ধায় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ।
দীর্ঘদিন যাবৎ দাড়িয়াপুরের মাষ্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমানের সঙ্গে জেসমিন আকতারের প্রেম চলছিল । সে গাইবান্ধা শহরের একটি মেসে থাকতো ।
বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযে পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর সেখান থেকে আতিক তার প্রেমিক জেসমিন কে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গত ২৫শে নভেম্বর ঢাকায় আসে।
ঢাকা থেকে গত ২৯শে নভেম্বর গাইবান্ধায় এসে মাষ্টারপাড়ার কুলসুম নামের এক ধাত্রীর বাড়িতে যায় এবং অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায় । গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বৃহস্পতিবার রাতে জেসমিন আকতারের মৃত্যু হয়।
তারপর প্রতারক প্রেমিক আতিকুর রহমান প্রেমিকার লাশ নিয়ে ভ্যান যোগে জেসমিনের বাড়িতে যায় এবং হৃদরোগজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ।
বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রেমিক আতিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশের কাছে সে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয় ।
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: