কুড়িগ্রাম লাইভ : নাগেশ্বরীতে শ্রেণিকক্ষেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার পরে থেকে জড়িত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপড়তা চালানো হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনাদেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কচাকাটা ইউনিয়নের ছোট ছড়ারর পাড় গ্রামের দিনমজুর মজিবর মিয়ার মেয়ে নায়কেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির পর সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বিএসসির কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ত। গত ২ নভেম্বর প্রাইভেট শেষে তার সহপাঠিরা চলে গেলে শিক্ষকের কথামত সে শ্রেনিকক্ষ ঝাড়ু দিতে থাকে। এসময় ওই শিক্ষক কক্ষের দরজা লাগিয়ে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। গোপনে ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে একই এলাকার রাকিব ও ভেদাং নামের দুই যুবক। পরে তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
ভিকটিমের মা জানান প্রধান শিক্ষক জাহান আলীর নিকট তিনি ঘটনার বিচার দাবি করলে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হবে বলে জানান। পরে প্রধান শিক্ষক লম্পট ওই শিক্ষককে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। এ সুযোগে ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে প্রধান শিক্ষক জাহান আলী বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।
ভিডিও ধারনকারী ভেদাং জানায় শহিদুল মাষ্টার এসে হাত পা ধরায় ভিডিও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি জানাজানি হলে কচাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল রোববার স্থানীয় গোলাম মোস্তফার বাড়িতে সালিশে অভিযুক্ত শিক্ষকের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে ভিকটিমের পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।
ইউপি চেয়ারমান আব্দুল আউয়াল বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা জনপ্রতিনিধি। বিভিন্ন বিচার সালিশ করতে হয়। মানুষ অনেক কথা বললেও সেটা নিয়ে আমরা ভাবিনা। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে এবং প্রমাণপত্র থাকলে বিচার করবো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন শাহ বলেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম ও ইসাহাক আলীকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা, ১১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: