কুড়িগ্রাম লাইভ: ব্যতিক্রমি কান্ড ঘটালো প্রেমিকার বাবা। প্রেমিক ভাবতেও পারেনি কি হবে ওই ডাকের ফলাফল। তরে ওই ডাকের বিষয়ে জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। ঘটা করে আয়োজন করা হয় রাতের খাবার। প্রেমিকার বাবা দাওয়াত দিল প্রেমিককে। কিন্তু ওই ডাক যে কাল হবে সে কথা বুঝে উঠতে পারেনি প্রেমিক ও তার পরিবার।
রাতের খাবারের দাওয়াত দিয়ে প্রেমিককে ডেকে নেন প্রেমিকার বাবা। নিখোঁজের ৩ দিন পর প্রেমিক সম্রাটের পরিবার তার সন্ধান পান। উদ্ধার করতে গেলে প্রেমিকার পরিবার মোটা অংকের টাকা দাবি করে বলে তার স্বজনদের অভিযোগ। সম্রাটের পরিবারের সদস্যরা জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মেদনী এলাকার রহিমুদ্দিন গাড়িয়াল সম্রাটকে ডেকে নেন। রহিমুদ্দিনের মেয়ে ১০ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর বাবা কৌশলে এ কান্ড ঘটিয়েছে।
প্রেমিক বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সম্রাট (১৯)। প্রেমিকার বাবার আহবানে দাওয়াত খেতে গেলে ৩ দিন ধরে আটকে রাখে তাকে। প্রেমিক-প্রেমিকা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিয়ে নিয়ে নানা সংশয় দেখা দেয়। পরে মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাটে তাদের বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসী জানান, ইসমত আরা খাতুনের সঙ্গে রাজারহাট সদর ইউপির চাঁন্দামারী (ঝাকুয়াপাড়া) এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সম্রাট। বিএ ১ম বর্ষের ছাত্র মো. সম্রাটের সঙ্গে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর।
এরই সূত্র ধরে গত রোববার সন্ধ্যায় ইসমত আরার বাবা সম্রাটকে বাড়িতে ডেকে এনে আটকে রাখেই বিয়ে সম্পন্ন করে। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানান তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে ওই বিষয়টি নিয়ে এখন গ্রাম, গঞ্জ ও উপজেলা ছাড়িয়ে জেলা শহরে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। প্রেমিকার বাবা কান্ডকে ব্যতিক্রম বলেও এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: