Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

কোচিং সেন্টারে এসব কী, শিক্ষক-ছাত্রীর অপকর্ম ভাইরাল!

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বার ২০১৭, ০৬:৫৯

লালমনিরহাট লাইভ : হাতীবান্ধায় এবার কোচিং সেন্টারের আড়ালে ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর একাধিক আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা ছাত্রলীগের দেয়া একটি পোস্ট ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে তিনি শিক্ষক-ছাত্রীর একটি আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছেন।

তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘হাতীবান্ধার আলোচিত পরিমল জয়ধর ওরফে সুমন মাস্টারের মুখোশ আর উম্মোচিত হচ্ছে না। কারণ ওই গুন্ডা মাস্টারের লালসার শিকার হওয়া কলেজছাত্রীরা আত্মসম্মানের ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। তবে ভুক্তভোগী কেউ যদি আমাদের (ছাত্রলীগ) কাছে সাহায্য চায়, তার পরিচয় গোপন রেখে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

ওই পোস্ট দেয়ার পরপরই এনিয়ে উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষকের একাধিক আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আলিমুদ্দিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মেহেদি হাসান সুমন কোচিং সেন্টারের আড়ালে ওসব ছাত্রীর সর্বনাশ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

রোববার ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রদল। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মেহেদি হাসান সুমন কলেজের পাশে একটি রুম ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার দিয়ে প্রাইভেট পড়ান। সেখানে প্রাইভেটের আড়ালে অসংখ্য ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন সুমন। তবে এ নিয়ে লোকলজ্জায় কোনো ছাত্রী এখনও অভিযোগ করেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকের অপকর্ম ধরতে ওই কোচিং সেন্টারের কক্ষে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়। ওই ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করা হয়।

মূলত গত শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মামুনের দেয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।


তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন শিক্ষক মেহেদি হাসান সুমন। তিনি বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। যারা ফেসবুকে এসব ঘটনা রটাচ্ছে তারা আমার সঙ্গে শত্রুতা করছে।

হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান বলেন, এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ