Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ছাত্রত্ব ফিরে পেলেন বেরোবির শিক্ষার্থী সোহেল রানা

প্রকাশিত: ২২ আগষ্ট ২০১৭, ০২:২৫

বেরোবি লাইভ: অবশেষে ছাত্রত্ব ফিরে পেলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা। গত দুই বছরে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের তিনবার দেয়া আদেশ অমান্য করেন সাবেক ভিসির প্রশাসন।


সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, ভিসি সোহেল রানার শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর অনুমতি প্রদান করেছেন। তার ছাত্রত্ব ফিরে পেতে আর কোনো বাধা নেই।


তিনি আরও বলেন, সোহেলের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের স্থগিত রাখা ফল প্রকাশসহ পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


এদিকে ভিসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, সাবেক ভিসি চাইলেই আমার ছাত্রত্ব ফিরে দিতে পারতেন তার জন্য আমার জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেল আমি বর্তমান ভিসি . নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (বিটিএফও) ধন্যবাদ জানায় আমার ছাত্রত্ব ফিরে দেওয়ার জন্য। আশা করি, বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবো।


জানা যায় অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ছাত্রত্ব হারান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা। ছাত্রত্ব ফিরে পেতে সাবেক ভিসি প্রফেসর . একে এম নুর উন নবীর দপ্তরে দীর্ঘদিন ঘুরেও ফল না পাওয়ায় উচ্চ আদালতের দারস্ত হন সোহেল রানা। উচ্চ আদালত সোহেলের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রায়ের দুই বছরেও সোহেল রানাকে ভর্তির সুযোগ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সোহেল রানা ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন। ২০১১ সালে ২য় বর্ষের ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীনমেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়জনিতকারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহেল রানা। কোনমতে পরীক্ষা শেষ করে বিভাগীয় শিক্ষকদের জানিয়ে বাড়িতে যান সোহেল। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে তার অস্ত্রপাচার করানো হয়। অস্ত্রপাচারের পর দেড় বছরেরও বেশি সময় সোহেল বিছানা সয্যায় ছিল বলে জানায় তার পরিবার সহপাঠীরা।


সুস্থ হয়ে ২০১৩ সালের জুন মাসে ক্যাম্পাসে ফেরেন সোহেল। তাকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে ৩য় বর্ষের ১ম সেমিস্টার পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোহেলের ফলাফল আটকে দেয় এবং তাকে পরবর্তী সেমিস্টার পরীক্ষা থেকে বিরত রাখে।


ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির জন্য ভিসির নিকট কয়েকদফায় আবেদন করেন সোহেল। এতে কোন লাভ না হওয়ায় ১৪-১০-২০১৫ ইং তারিখে ছাত্রত্ব ফিরে পেতে রিট করেন সোহেল রানা। ২০-০৯-২০১৫ ইং তারিখে রায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। রায়ে সোহেলের ফলাফল প্রকাশপূর্বক সপ্তাহের মধ্যে তার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।


উচ্চ আদালতের রায়কে বৃদ্ধঙ্গলী দেখিয়ে সোহেলের ভর্তি কার্যক্রম দেড় বছর বিলম্ব করে সাবেক ভিসি প্রফেসর . একে এম নুর উন নবী

 

ঢাকা, ২১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ