হাবিপ্রবি লাইভ: দীর্ঘ দুইমাসের বেশী সময় ধরে এগ্রিকালচার ডিগ্রীর দাবীতে আন্দোলন করে আসছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এগ্রিবিজনেস এর শিক্ষার্থীরা।
নানা প্রতিকূলতা অপেক্ষা করে ৬২ দিনের টানা আন্দোলন। তারা কখনো ছিল শান্ত, কখনো আবেগ প্রবন, কখনো বা উত্তেজিত।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার এন্ড এগ্রিবিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থীরা এভাবেই আন্দোলন করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে, কারণ তাদের ডিগ্রীর ছিলনা কোন রেজিস্ট্রেশন ও কর্মক্ষেত্র এবং যা বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
অবশেষে তাদের মুখে হাসি ফুটলো। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৩ তম সভায় সবার সম্মতিতে মেনে নেয়া হলো তাদের প্রাণের দাবি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল আলম বলেন সামান্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন পাবে। তিনি বলেন একাডেমিক কাউন্সিলের নেয়া সিদ্ধান্ত সাধারনত রিজেন্ট বোর্ডে পরিবর্তন হয়না তাই এটা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
তিনি বলেন শর্ত গুলো খুবই সাধারন, এগ্রিকালচারের সাথে তাদের যে পার্থক্য টুকু আছে সেটা দূর করা। এ জন্য যে তদন্ত কমিটি আছে তারা কাজ করবেন এবং তাদের সুপারিশ মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যে যে বিষয় গুলো তারা পড়েনি এগুলো কিভাবে পড়ানো ও যুক্ত করা যায় সেটাও খুজে বের করবে এই কমিটি। তিনি আরও বলেন আমি ছাত্র ছাত্রীদেরকে আহবান জানিয়েছি তারা যেন কাল ক্লাসে ফিরে যায়।
এদিকে আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমরা আজ নতুন জীবন ফিরে পেলাম। এতোদিন আমাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে ছিল। এই আনন্দ প্রকাশ করার মতো না। আমরা ভিসি স্যারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ, ৫০০ শিক্ষার্থী ও ৫০০ শিক্ষার্থীর পরিবারের দোয়া সারাজীবন স্যারের সাথে থাকবে।
উল্লেখ্য এটি বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড.মুঃ আবুল কাসেমের জন্য প্রথম একাডেমিক কাউন্সিল। এই কাউন্সিলকে ঘিরে ছিল ব্যাপক উত্তেজনা ও আগ্রহ, তাই সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ভিসি সফলতার সাথেই সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পেরেছেন বলে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা মনে করেন।
ঢাকা, ১৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: