Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বেরোবিতে কেমন ছিল ‌‘ক’ ইউনিটের গুচ্ছ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৭:৩৫

ভর্তি পরীক্ষা

মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, বেরোবি: দেশের ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৩০ জুলাই) উৎসবমুখর পরিবেশে দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘ক’ ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘ক’ ইউনিটে ৩ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ রংপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, দিমিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।

পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে পঞ্চগড় সরকারি কলেজ থেকে আসা ভর্তিচ্ছু ইমরান আলী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমার অনুভূতি মিশ্র কারণ, অভিজ্ঞতাটা আমাদের সবার জন্যই একেবারে নতুন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আগের বছরের প্রশ্ন দেখে ধারণা পাওয়া যায় বা আগে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যায়। আমাদের সেই সুযোগ ছিল না। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট। ছোটখাটো কিছু সমস্যা হয়েছে। যেমন যে ছেলেটা বাঁ হাতে লেখে অভ্যস্ত, তাঁর জন্য প্রথমবার ডান হাতলযুক্ত চেয়ারে পরীক্ষা দেওয়া সহজ নয় মোটেও। গুচ্ছ পরীক্ষা অনেকগুলো কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।

রংপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়েশা সিদ্দিকা আঁখি ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, প্রশ্ন বেশি কঠিন ছিল।গুচ্ছ নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা ছিল, তা অনেকাংশেই পূরণ হয়েছে। আমার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর ছিল। দিকনির্দেশনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের সদস্যরা ছিলেন এবং শিক্ষকেরাও যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া কেন্দ্র আমার বাসার কাছে হওয়ায় যাতায়াত সহজ ছিল। তাই এই পদ্ধতি আমার কাছে বেশ যুগোপযোগী মনে হয়েছে। তবে প্রশ্নের ধরন নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে। সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি মিলিয়ে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হলেও প্রশ্নের মান শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো কঠিন হয়েছে। যা হওয়া উচিত ছিল মাঝারি মানের।

গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ এর শিক্ষার্থী নাফিসা ইকবাল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, পরীক্ষার ধরন ও প্রশ্নপত্র সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট ধারণা ছিল না। সাধারণত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটু কঠিন প্রশ্ন হয়। তাই কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। পরীক্ষার প্রশ্ন আমার কাছে বেশ কঠিন মনে হয়েছে। গাণিতিক শর্তাবলি দিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছিল, যা প্রত্যাশা করিনি। তাই মেডিকেল কিংবা সাধারণ বিষয়গুলোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন সহজ মনে হয়নি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই গুচ্ছের বাইরে আলাদাভাবে পরীক্ষা নিলেই ভালো হবে বলে মনে করি। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে, ছোটাছুটি করতে হয়নি। বাসার পাশেই কেন্দ্র পেয়েছি। দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরাও এবার গুচ্ছতে সুযোগ পেয়েছে। এটাও ভালো দিক।

সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আসা আবু সৈয়দ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা নিয়ে সবার কাছ থেকে মোটামুটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই পেলাম। তবে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে প্রশ্নের ধরনের সামঞ্জস্য ছিল না। কখনো কখনো ১টি প্রশ্নের উত্তর করতেই ৫ মিনিটের মতো সময় লেগে গেছে। তাই মাত্র ৬০ মিনিটে এই মানের প্রশ্নের সমাধান করা খুব কঠিন। উপরন্তু প্রশ্নের পৃষ্ঠা কম থাকায় ও ফাঁকা জায়গার অভাবে গাণিতিক প্রশ্নে রাফ করার জায়গা পাইনি। যেহেতু ৬টি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়েছিল, সেহেতু প্রশ্ন আরেকটু বড় ও স্পষ্ট করা যেত। একটি পরীক্ষার ওপর আমাদের অনেকের উচ্চশিক্ষার ভাগ্য নির্ভর করে, সুতরাং প্রশ্নের মান আরও ভালো করা উচিত চিল ।

শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মতামত জানতে চাওয়া হলে, বীরগঞ্জ থেকে আসা পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তারের পিতা আব্দুল মতিন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় যাতায়াতসহ সার্বিক বিষয়ে আমাদের অনেকটা কষ্ট লাঘব হয়েছে। যেহেতু আমি একজন মেয়ের পিতা সকল মেয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেওয়া অনেক কঠিন আর এই কঠিন কাজ সহজ হয়েছে গুচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে। অমি মনে করি এই পদ্ধতি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগের (বি ইউনিট) এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য বিভাগের (সি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা সারাদেশে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা, ৩০ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ