বেরোবি লাইভ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটক করে রাখে পুলিশ।
এ খবরে শুনে আটককৃত শিক্ষার্থীর বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি প্রক্টরকে সালাম না দেয়ার অভিযোগে ওই ছাত্রকে আটক করে রাখা হয়। পরে বাবার মৃত্যুর বিষয়টি জেনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এনিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্য্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই ছাত্রের সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তামান্না ছিদ্দিকার পদত্যাগ ও বিচার দাবি করে শনিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে আগামী সোমবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ভিসির কাছে প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৬ষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপু রায় প্রক্টরকে সালাম দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তামান্না ছিদ্দিকা।
এ নিয়ে প্রক্টর যৌন হয়রানি করার অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যলয়ের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে ডেকে এনে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দীপু রায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ্দ করেন।
অভিযুক্ত দিপুকে সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়িতে আটক করে রাখা হয়। দীপু রায়কে পুলিশ আটক করে রেখেছে তার বন্ধুরা এ খবর তার বাড়িতে জানান। খবর পেয়ে তার বাবা অনীল চন্দ্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খবর শোনার পরপরই মৃত্যুবরণ করেন। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার জহুলী গ্রামে। বাবার মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে প্রক্টরের নির্দ্দেশে দীপু রায়কে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ প্রক্টর তামান্না ছিদ্দিকার অপসারণ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে প্রক্টর তামান্না সিদ্দিকা সাংবাদিকদের জানান, দীপু রায় তাকে ও অপর একজনজনকে শিক্ষককের সঙ্গে যৌন হয়রানি করেছে। তাই তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছিল।
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: