লালমনিরহাট লাইভ : পালানোর কথা বলে ছাত্রীকে বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হাতীবান্ধা থানায় শুক্রবার রাতে প্রেমিকসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে ওই ছাত্রী। তবে ওই প্রেমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পালাতে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকের নামে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছে ছাত্রী। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ৪/৫ মাস আগে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের এসএসসি ফলপ্রার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দইখাওয়া গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য রুবেলকে ডেকে পাঠায়।
রুবেল তার দুই বন্ধু সোহেল রানা ও জিয়ারুলকে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যায়। পরে তারা মেয়েটিকে নিয়ে পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এসময় চোর সন্দেহে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় প্রেমিক রুবেল ও জিয়ারুল পালিয়ে গেলেও সোহেল রানাসহ মেয়েটিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
পরে সোহেল রানাকে স্থানীয় নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বনী কুমার বসুনীয়ার কাছে নিয়ে গেলে তাকে আটকে রাখা হয়। এনিয়ে শুক্রবার দিনভর চেষ্টা করেও প্রেমিক রুবেলের কোনো সাড়া না পেয়ে রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রী জানায়, ওই রাতে রুবেল তার বন্ধুদের সহযোগিতায় ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তাই সে রুবেল, জিয়ারুল ও সোহেল রানার নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার এসআই আবুল কালাম আযাদ বলেন, মেয়েটির সঙ্গে রুবেলের সম্পর্ক থাকায় তারা পালাতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু এলাকাবাসীরা তাদেরকে চোর সন্দেহে আটক করায় ঘটনাটি অন্যদিকে মোড় নেয়। ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা, ১৯ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: