বেরোবি লাইভ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বৃক্ষরাজি রোপণ, পরিচর্যা ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিসি প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও এর নির্দেশনায় বৃক্ষায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটি গঠন করা হয়।
রবিবার কমিটি গঠন উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বেরোবি বৃক্ষায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ আতিউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় উপস্থি’ত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে এই কমিটি সঠিকভাবে ক্যাম্পাসে সবুজায়নের মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধণ করবে। ক্যাম্পাসকে বৃক্ষায়নের মাধ্যমে নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পরিকল্পিত সবুজায়নের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দর্শনীয় করে তোলার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
এই সভার মধ্য দিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। বৃক্ষায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর মোঃ আতিউর রহমান, সদস্য দুর্যোগ ব্যস্থাপনা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোঃ আব্দুল্লাহ্-আল-মাহবুব, লেকচারার মোঃ সানজিদ ইসলাম খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার মোঃ শামীম হোসেন, জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার লুবনা আক্তার, প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ শাহরিয়ার আকিফ, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এবং সদস্য সচিব সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হাকিম ।
নবগঠিত কমিটির টার্মস অব রেফারেন্সগুলি হলো,
১. এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় সুশৃঙ্খলভাবে বৃক্ষ রোপণ করা, কোথায় কোন গাছ লাগানো হবে তা নির্ধারণ করা এবং ক্যাম্পাসের ঝুঁকিপূর্ণ বা অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে গাছ স্থানান্তর/ অপসারণ/ কাটার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
২. এই কমিটি বৃক্ষের পরিচর্যা, মৌসুমী বাগান তৈরি ও বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে পরিচর্যা/রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
৩. কমিটি দেশীয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যাম্পাসের খালি জায়গা নির্ধারণ করে প্রতি বছর জুন মাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবেন।
৪. কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করতে চাইলে এই কমিটি ও কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৫. কমিটি বৃক্ষের প্রজাতি ও বৃক্ষের সংখ্যার তালিকা করবেন। কমিটির মতামত ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ গাছ কাটতে পারবে না।
৬. কমিটি ক্যাম্পাসে উৎপাদিত ফল-ফলাদি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা ও নিরাপত্তা শাখা বৃক্ষায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটিকে সকল সহযোগিতা প্রদান করবেন।
৮. কমিটি প্রতি মাসে কমপক্ষে একটি সভা করবেন।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: