Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বেরোবিরতে ভর্তি জালিয়াতির তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবার ২০১৮, ০৫:২৩

বেরোবি লাইভ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি জালিয়াতির তথ্যানুসন্ধান করতে এ তদন্ত কমিটি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. আরএম হাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর এইচ এম তারিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব এবং সহকারী প্রক্টর মো. ছদরুল ইসলাম সরকারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেন। পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কাজী আসাদুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে গত ২৬-২৯ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও ভর্তির জন্য ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিন ছিল। ওই দিন মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছয় শিক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ওই ছয় শিক্ষার্থী হলেন ‘বি’ ইউনিটের শামস বিন শাহরিয়ার, রিফাত সরকার ও সাদ আহমেদ, ‘সি’ ইউনিটের আহসান হাবীব ও শাহরিয়ার আল সানি এবং ‘এফ’ ইউনিটের রোকসান উজ্জামান। একই দিন ক্যাম্পাসে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই জালিয়াতির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাড়াও এক নারীর জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে স্বীকারোক্তি দেন ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধাক্রমে প্রথম হওয়া শামস বিন শাহরিয়ার। আটক শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী রাহেল চৌধুরীকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই কর্মচারী রাহেল চৌধুরী বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ওই জালিয়াতির ঘটনা উন্মোচন করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ ও লেকচারার সামান্থা তামরিন। তারা উভয়েই সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। অথচ পরবর্তীতে এ দুই শিক্ষককে ভর্তি কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়।

পরবর্তীতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় অধিক তদন্তে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোহাম্মাদ আজিজুর রহমানকে আহ্বায়ক তথ্যানুসন্ধান কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রায় নয় মাস পর এ কমিটি প্রতিবেদন জমা করেন।

এবিষয়ে তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান জানান, তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবেন। কালক্ষেপণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলতে এবং তথ্য প্রমাণ পর্যবেক্ষণে একটু সময় বেশি লেগেছে।

এবিষয়ে জানাতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর এইচ এম তারিকুল ইসলাম জানান, চিঠি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলবো। তবে প্রতিবেদন জমার কার্যদিবস বাড়িয়ে নিতে আবেদন করবেন বলে জানান তিনি।

 


ঢাকা, ০৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ