বেরোবি লাইভ : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে প্রেমিক যুগলকে মারধরে বাধা দেয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এনিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেলে কলেজে (রমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে বহিরাগত এক যুগলকে বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজ মারধর করেন। ঘটনাস্থলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান মারধরে বাঁধা দিলে রাজ ক্ষিপ্ত হয়ে যুগল ও আহসানকে একসঙ্গে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আহসানের কয়েকজন বন্ধুবান্ধব এগিয়ে আসলে রাজ ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় আহসানকে দফায় দফায় মারধর করে এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।
পরে সন্ধ্যায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহসানকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুনরায় তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে আহসান এবং গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ মন্ডলকে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত হয়ে ঘটনার অন্য দিকে মোড় নেয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে আহসানের বহিস্কারের দাবিতে স্লোগান দেয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রড, স্টাম্প, কিরিচ, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ-উল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে আছি, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য পাঠিয়েছি তারাই মীমাংসা করে দেবে। দফায় দফায় সংঘর্ষের পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হলেও তাদের মধ্যে নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে।
এদিকে ছাত্রলীগের দাবি, যেসব শিক্ষার্থীদের উপর তারা মারধর করেছে তারা সবাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল দীর্ঘদিন। তাই তাদের প্রতিহত করার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সহকারি প্রক্টর এইচ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, তাদের দুই পক্ষকেই নিয়ে বসেছিলাম কিন্তু তা সমাধান করা সম্ভব হয়নি তাই দুই পক্ষকেই লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। পরে আমরা টিমের সদস্যরা আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, আমাদের কর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। যাদের মারধর করা হয়েছে তারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা, ০৭ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: