লাইভ প্রতিবেদক: কলেজগুলােত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে নীলফামারীর ডিমলা উপেজলার বেশ কিছু কলেজে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের এমন ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে উপজেলার জনতা ডিগ্রি কলেজ, তিস্তা ডিগ্রি কলেজ, শহীদ জিয়া কলেজ ও ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজসহ নন-এমপিও কলেজগুলোতে ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ফলে হত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ভর্তির টাকা যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
গত ০৭ মে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সোহয়াব হোসাইন স্বাক্ষরিত ৩৭.০০.০০০০.০৬৭.১৪.০০১.১৬-২২০ নম্বর পত্রের অনুচ্ছেদ ৫.৫.১-এ উল্লেখ রয়েছে যে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। কিন্তু ডিমলা উপজেলার বেশ কিছু কলেজ মন্ত্রণালয়ের এ নিদের্শনাকে উপেক্ষা করে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকারও বেশি ভর্তি ফি আদায় করছে।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে ডিমলা উপজেলার জনতা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আফতাব হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমরা এইচএসসি ১ ম বর্ষের ভর্তি ফি ২ হাজার টাকার করে নিচ্ছি। অন্যান্য কলেজ ১ হাজার টাকার বেশি নিতে পারলে আমরা নিতে পারবো না কেন?
উপজেলার শহীদ জিয়া কলেজের ভর্তি কমিটির সদস্য হালিনুর রহমান বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ১ হাজার ৮০০ শ টাকা ভর্তি ফি নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল হাসিম হায়দার অপু ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমরা যে টাকা নিচ্ছি তার কাগজপত্র দেখতে চাইলে কলেজে আসতে হবে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নিকট ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে খোঁজ-খবর নিতে বলবো।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন থেকে কলেজগুলোতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়েছে। জরিমানা ছাড়া এ ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
ঢাকা, ৩০ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এইউবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: