রুয়েট লাইভ : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। এঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনার পর শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভায় রুয়েট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিকাল ৩টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন জানান, গত তিন দিনে দু'টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ফলে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফাইল ফটো
জানা যায়, চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে রুয়েটের হামিদ হলে ছাত্রলীগের তপু ও সাখাওয়াত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় বিবাদমান দু'গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেল বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে পারলাম- বহিরাগত কিছু অস্ত্রধারী হলে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে।
এরআগে গত মঙ্গলবার রাতে ল্যাপটপ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়া হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সিদ্ধার্থ শঙ্কর সাহাকে হলে অবরুদ্ধ করে রাখেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সিদ্ধার্থ শঙ্কর মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হওয়ায় রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষ নিয়ে রুয়েটে যায়। এতে তিন পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে রুয়েট ও স্থানীয় ছাত্রলীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফের সংঘর্ষ হয়।
এসব ঘটনার কারণে অবশেষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রুয়েট।
ঢাকা, ১১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: