বগুড়া লাইভ : শিবির সন্দেহে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ৮ছাত্রসহ ১২জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন ওই মেডিকেলের চিকিৎসক ও বাকী দুইজন বগুড়া আযিযুল হক কলেজের ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা একটি কোচিং সেন্টারে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে টিএমএসএস মহিলা মার্কেট মিলনায়তনে রেটিনা কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে তাদের অাটক করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানিয়েছেন, দেশে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও বিশৃংখলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল আটককৃতরা। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার টিএমএসএস মহিলা মার্কেট মিলনায়তনে রেটিনা কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত শিবিরের কিছু নেতা কর্মী সমবেত হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সেখানে আমন্ত্রন জানিয়ে গিফট দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে ছিল। সেখান থেকে অনেকেই পালিয়ে গেলেও ১২ জনকে আটক কর হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন হল, মাসুদ রানা, মোজাম্মেল হক এবং নাঈম।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, রেটিনা কোচিং সেন্টারের ওই অনুষ্ঠানের আড়ালে বিশৃংখলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে গোপনে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে গেলেও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ২ জন চিকিৎসকসহ ওই কলেজের ৮ জন ছাত্র এবং বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের ২ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী দাবি করেছে। তারা রেটিনা কোচিং সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সদস্য বলেও উল্লেখ করেছে পুলিশ।
ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: