রাজশাহী লাইভ : স্কুলের কমনরুমে ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ বাঘা উপজেলার চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত পারভেজ আহম্মেদ নামের এক ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ওই ছাত্রের চাচা (অভিভাবক) বজলুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার ওই নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম। এঘটনা নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ছবি ধারণের জন্য গোপনে ছাত্রীদের কমনরুমের জানালার র্যাকের ওপর মোবাইলফোনটি চালু করে রেখে যায় একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ আহম্মেদ।
বিদ্যালয় ছুটির পর কমনরুমের কক্ষ বন্ধ করার সময় প্রতিষ্ঠানের আয়া জরিনা বেগম মোবাইল ফোনটি দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের কাছে জমা দেন। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে জানান আবদুল কুদ্দুস। প্রধান শিক্ষক ফোনটি স্কুল গভর্নিং কমিটির সভাপতি ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের কাছে জমা দেয়ার জন্য বলেন।
প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মোবাইল ফোনটি সভাপতির কাছে ধর্মীয় শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস জমা দিতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পারভেজ আহম্মেদ ও তার চাচা বাজুবাঘা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বজলুর রহমান বিদ্যালয়ে এসে ফোন চান। ফোন দিতে না চাইলে উভয়ে মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে ওই ধর্ম শিক্ষককে মারধর করে। স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কাজ করেছি।
ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: