Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতি তদন্তে কমিটি

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০১৭, ২২:০৭


রারি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএচডি থিসিস জালিয়াতি অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার রাতে ভিসির বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগে রেজাল্ট কমানো বা শর্ত শিথিলতার জন্য প্রো-ভিসিকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।


থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস ও আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম আনিছুর রহমান।


সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. আখতার ফারুক বলেন, ‘গনযোগাযোগ বিভাগের সাবেক ১৬ শিক্ষার্থী দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভিসি বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছে।

একইভাবে আইন বিভাগের শিক্ষক আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটা ইংলিশ থিসিস থেকে অনুবাদ তার থিসিসে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুই ঘটনার তদন্তের জন্য চিকিৎসা মনোবজ্ঞিানের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ফলিত পদার্থ ও ইলেকট্রেনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আবু বকর মো. ইসমাঈল ও সিন্ডিকেট সদস্য রুস্তম আলী।’


আখতার ফারুক আরো বলেন, ‘ইউজিসির সিদ্ধান্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে চারটিতেই প্রথম শ্রেণী থাকার সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু চারটিতেই প্রথম শ্রেণী রাখতে যেয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আবেদন জমা পড়ছে না। আর ইউজিসির এই নীতিকে বিরোধীতা করে শিক্ষক সমিতি এই নিয়ম পরবির্তনের দবী করে আসছিল। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে শিক্ষক নিয়োগে নূন্যতম শর্ত শিথিল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর আনান্দ কুমার সাহাকে আহ্বায়ক করে কয়েকটি অনুষদের ডীনদের সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’


জালিয়াতের অভিযোগের ব্যাপারে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটা স্থানীয় পত্রিকা পিএইচডি থিসিস জালিয়াতি করেছি বলে নিউজ হয়েছে। তাই নিজেই আমি ভিসি স্যারের কাছে যেয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুরোধ করি। কারণ দূর্নাম নিয়ে আমি পিএইচডি অর্জন করতে চাই না। এব্যাপারে সুরাহা করার জন্যেই আমি ভিসি স্যারকে তদন্ত কমিটি করতে বলি। মূলত আমারা বিভাগ বা অন্য কোথাও থেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ অভিযোগ করা হয়েছে।’


একইভাবে নিজের অভিযোগ অস্বীকার করে আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম আনিছুর রহমান বলেন, ‘কে বা কারা আমারা বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আমার জানা নেই। আমি মৌলিক গবেষণা করেছি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হওয়ার মত কোন কাজ আমি করেনি। এটা সম্পূন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।’


এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘সিন্ডিকেট মিটিংয়ে অনেকগুলো এজান্ডা ছিল। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে শর্ত কেমন হবে এবিষয়ের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে রেজিষ্টারের সাথে যোগাযোগের জন্য বলেন তিনি।

 

ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ