নাটোর লাইভ : প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজছাত্রীর সর্বনাশ করে দিয়েছে তার বন্ধুরা। শুধু তাই নয় ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর বান্ধবী ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। এঘটনায় ওই ছাত্রীর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাগাতিপাড়ার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার দাঙ্গাপাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে তুষার আলী প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত।
তাতে সাড়া না দেয়ায় গত ১২ জুলাই ছাত্রীকে তার বান্ধবী মেঘলা খাতুনের সহযোগিতায় নেশাদ্রব্য খাইয়ে কলেজের গেট থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। সেখানে তুষার আলী এবং তার অপর দুই বন্ধু ইমন ও তুষার ইমরান মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অপর দু’জনও একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ইমন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শ্রীবতীপাড়া গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ছেলে এবং তুষার ইমরান নাটোরের নলডাঙ্গা থানার পূর্বমাধনগর গ্রামের সালামের ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটির বান্ধবী মেঘলা খাতুন ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ওই তিন বন্ধু ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ২০ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৪ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসা নেয় সে। অভিযুক্তদের এসব পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৬ আগস্ট হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। পরে তাকে বগুড়া সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসা নেয় সে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাগাতিপাড়া থানায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে ওই ছাত্রীর মা মামলা করেন।
প্রধান আসামি তুষার আলীকে বৃহস্পতিবার দয়ারামপুরের একটি ছাত্রাবাস থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র্যাব। তুষার আলীর বিরুদ্ধেও অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। একই দিন ছাত্রীর বান্ধবী মেঘলা খাতুনকে অপর এক ছাত্রীনিবাস থেকে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদের জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা, ২৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: