রাবি লাইভ: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২০ আগস্টের ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবসের আলোচনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান বলেন, ছাত্র ও ন্যায়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮১ জন শিক্ষককে নিয়ে গণছুটি নিয়েছিলাম।
সে ঘটনায় আমাকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিল, আপনি কনভেনর হিসেবে ক্লাবের মিটিংয়ে গণছুটি বন্ধ করতে পারতেন কিন্তু তা করলেন না কেন? তখন আমি তাকে বলেছি, আপনি আপনার কমান্ডকে ন্যায়-অন্যায়ে ক্যারি আউট করতে পারেন। কিন্তু গণতন্ত্র সকলের সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের হয়। সামরিক আইন ও গণতান্ত্রিক আইন এক নয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, ৩৮ জনকে র্যাব কাস্টরিতে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ১০ দিনই রিমান্ড দেন। অথচ খুনির মামলায় ১০ দিন রিমান্ড চাইলে ৫ দিন দেয়া হয়। কেননা আমরা ছিলাম অসহায় ও নির্যাতনের শিকার।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিনেট ভবন চত্বরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্র-ভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের প্রফেসর মলয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ সিনেট চত্বরে এক মানববন্ধনে আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ২০ আগস্ট ঢাবির খেলার মাঠে সেনা সদস্যদের হামলার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে ৮ শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। ২৪ আগস্ট দুই দিন শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশে সংঘর্ষে অন্তত কয়েকশ আহত হন। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৪ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন’ দিবস পালন করে আসছে।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: