রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আবাসিক হলের দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিহার হল থেকে পুলিশ তাদের আটক করে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) ভর্তি করে। ছাত্রলীগের দাবি ‘তারা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত।’ তবে শিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছে, ‘তারা সাধরণ শিক্ষার্থী।’
আটককৃত দুইজন হলেন, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ ও সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন।
হল সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় রুহুল আমীন ২০৩ নম্বর কক্ষে এসে আব্দুল আজিজকে খোঁজ করেন। কিন্তু আব্দুল আজিজ ওই কক্ষে থাকতেন না। বিষয়টি ২০২ নম্বর কক্ষে থাকা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেনের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।
এরপর ২০২ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ওই দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই দুই শিক্ষার্থী শিবিরের বিকল্পধারা সাংস্কৃতি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পান বলে দাবি ছাত্রলীগের।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিবিবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টার প্রমাণ পেয়েছি। তাদের মুঠোফোনে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার একাধিক প্রমাণ মেলেছে।
এদিকে রাবি শিবিরের প্রচার সম্পাদক সাদিক বিল্লাহ্ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আটককৃতদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থী উল্লেখ করে বলেন, ‘সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল থেকে ২ জন সাধারণ ছাত্রকে শিবির সন্দেহে নির্যাতন করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে না গিয়ে উল্টা সাধারণ ছাত্রদেরকে গ্রেফতার করেছে। রাবি শিবিরের পক্ষ থেকে বিনা কারণে একের পর এক সাধারণ ছাত্রদেরকে নির্যাতন এবং বিনা অপরাধে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এব্যাপারে মতিহার হল প্রভোস্ট আলী আজগর জানান, ‘আমি প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিং এ ছিলাম। আমি কিছুক্ষণ আগে শুনলাম। কি কারণে আটক করা হয়েছে, এখনও জানতে পারিনি’।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ আমাদেরকে দিয়েছে, আমরা নিয়ে আসছি। কোন ডকুমেন্ট ছাত্রলীগ আমাদেরকে দেয়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানালে, গুরুতর আহত হওয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে রামেক এ পাঠানোর ব্যবস্থা করি’।
শিবিরের কোন ডকুমেন্ট তাদের কাছে পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই’।
ঢাকা, ২০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: