Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবিতে দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করলো ছাত্রলীগকর্মী

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০১৭, ০৩:৪৮

রাবি লাইভ: ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী।


রোববার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাত করা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।


ছুরিকাঘাতে আহত হৃদয় হাসান আইন বিভাগের মাস্টার্সের এবং মাহাবুবুর রহমান সুমন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমান বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হৃদয় ও নোমানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নোমান হৃদয়কে মারধর করা শুরু করলে হৃদয় ও সুমনও মারধর করা শুরু করেন। এতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান। এসময় হঠাৎ ছুরি বের করে হৃদয় ও সুমনের পেটে আঘাত করেন নোমান। এরপর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হৃদয় ও সুমনকে কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়।


জানা গেছে, নারীঘটিত বিষয় নিয়ে নোমান এবং হৃদয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। তার প্রেক্ষিতেই রোববারের এ ঘটনা ঘটে।


ভুক্তভোগী হৃদয় হাসান বলেন, ‘আমার এক বান্ধবীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো নোমান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গ্রন্থাগারের সামনে যাই। এমন সময় হঠাৎ করে আমাকে আর সুমনকে মারধর করতে থাকে নোমান আর রাশেদ। এক পর্যায়ে নোমান প্রথমে আমাকে পরে সুমনকে ছুরি মারে।’


এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আমার আগামীকাল (সোমবার) পরীক্ষা। তাই লাইব্রেরীতে পড়াশুনা করছিলাম। বিকেলে চা-নাস্তা করতে নিচে নেমে দেখি নোমানের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সেখানে যেতেই হঠাৎ তারা আক্রমণ করে বসে। আমাকেও মারধর করে। এরই মধ্যে তাকিয়ে দেখি তাদের দুজনকে ছুরি মারা হয়েছে। তাদের কথাকাটাকাটি বা দ্বন্দ্বের বিষয়ে কিছুই জানতাম না।’


তবে ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি ও সভাপতি তাদের সাথে কথা বলেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলেছি। তবে নোমান ছেলেটি আগে হয়ত ছাত্রলীগ করতে পারে। সম্প্রতি সে ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতেই থাকে না। বরং ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত সুমন আমাদের ছাত্রলীগ কর্মী।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টও প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরেই আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি ভালো।’

 

ঢাকা, ২০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ