রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমির আলী হলের নতুন প্রভোস্ট হিসাবে গত মে মাসে যোগদান করেছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড.মো আমিনুল ইসলাম।
গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান তাকে নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্টদের মধ্যে তিনিই সর্ব কনিষ্ঠ। তবে কনিষ্ঠ হলেও কাজের অভিজ্ঞতায় কোন দিক দিয়ে কমতি নাই বলেলেই চলে। নিত্য নতুন সৃষ্টিশীল আবিষ্কার করাই যেন তার কাজ।
অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে হলের শিক্ষার্থী, কর্মচারী সবার নিকটে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। নতুন এ প্রভোস্টের ব্যবহারে তুষ্টি হয়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরাও। নির্ধিদায় সকল সমস্যা খুলে বলতে কোন সংকোচবোধ করেছেন না তারা।
হলের উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে চোঁখে পরার মতো। ডাইনিংয়ের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য নতুন রুম বরাদ্দ দিয়েছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে হলের ডাইনিং রুমের উদ্ধোধন করেন। এসময় হলের হাউস টিউটর,শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে হলের একাদিক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা নতুন হল প্রভোস্টকে পেয়ে সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ইতিপুর্বে কোন হল প্রভোস্টকে দেখি নাই আমাদের সাথে খাবার খেতে। কিন্তু নতুন প্রভোস্ট স্যার নিয়মিত ডাইনিংয়ে গিয়ে খাবারের মান যাচাই করার জন্য আমাদের সাথে বসে খাবার খান।
এদিকে হলের চারপাশে ভুতুড়ে পরিবেশ পরিষ্কার করে সর্বত্রই আলোর ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য ‘রিডিং’ রুমের ব্যবস্থাসহ সৈয়দ আমীর আলীর জীবন ও কর্ম সমন্ধে বোর্ড আকারে নামফলক তৈরী করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের সুপার ভাইজার মাসুম আখতারুজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, নতুন প্রভোস্ট স্যারের দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস হয়ে গেল। এর মধ্যে তার মাঝে নতুন সৃষ্টিশীল মনোভাব দেখেছি। তিনি হলের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আগের থেকে হলের পরিবেশ অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি তিনি যেভাবে সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অন্যান্য হলের তুলনায় এটি আদর্শ আবাসিক হলে হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট ড.মো আমিনুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, হলে সুষ্ঠু ছাত্র বান্ধন পরিবেশ সৃষ্টি করাই আমার কাজ। এখানে একটা পরিবার বাস করে। এ পরিবারের দায়িত্ব আমার হাতে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই হলে যাতে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে সেটা আমি হতে দিব না। আমিও এক সময় ছাত্র ছিলাম। তাই শিক্ষার্থীদের দু:খ কষ্ট অনেকটাই বুঝতে পারি। এজন্য আমি সকলের সাথে বসে খেয়ে খাবারের মান পরিবর্তন করেছি। মসজিদের কিছু সমস্যা ছিল সমাধান করেছি। হলের সর্বত্র ওয়াইফাইসহ ভালো ইলেকট্রিসিটির ব্যবস্থা করেছি। কর্মচারীদেরও অনেক সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করবো। সর্বোপরি আমি এ হলকে একটি আদর্শ হল হিসেবে পরিচিত করেতে চাই।
ঢাকা, ১৮ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: