Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবি নতুন প্রো-ভিসির বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৭, ০৪:৪০

রাবি লাইভ: বিশিষ্ট অনুজীববিজ্ঞানী ও প্রাণিবিদ্যা বিশারদ ড. আনন্দ কুমার সাহা ১৯৫৭ সালে মাগুরা জেলার মহাম্মদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যশোর বোর্ড থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) ও ১৯৮০ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। অনার্সে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন।

১৯৮৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ২০০২ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। ২০০২ সালে তিনি ভারতের পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল আপন টাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর পঠন-পাঠনের ক্ষেত্র হচ্ছে, অনুজীববিদ্যা ও আনবিক জীববিজ্ঞান। অধ্যাপনায় যোগদানের আগে তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ফুড-ফাইবার-ফুয়েল শীর্ষক সুইস-বাংলাদেশ গবেষণা প্রকল্পে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ থেকে মে ১৯৮৪ পর্যন্ত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেন।

এ যাবত প্রফেসর সাহার ৫৩টি গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৯টি এমফিল ও পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন ও বর্তমানে তিনজন গবেষক তাঁর তত্ত্বাবধানে গবেষণারত আছেন। এছাড়া তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাস্টার্স পর্যায়ের গবেষণাও তত্ত্বাবধান করেছেন।
প্রফেসর সাহা প্রণীত দুটি পুস্তকের মধ্যে জাতির জনকের বিভিন্ন কর্মকান্ডের আলোকচিত্র-সম্বলিত ‘ছবি কথা তিনি ২০১০ সাল থেকে  www.ourmujib.blogspot.com শীর্ষক একটি ব্লগও পরিচালনা করে থাকেন। ব্লগটি এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ বার ভিজিট করা হয়েছে।

ড. সাহা বিভিন্ন সময়ে সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ভারত, ডেনমার্ক, জার্মানি, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশবিজ্ঞান একাডেমীর সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধের জন্য ২য় পুরস্কার ও ২০০৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রাণিবিদ্যা সম্মেলনে পোস্টার উপস্থাপনের জন্য প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতি, বাংলাদেশ জেনেটিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ রিসার্চ গ্রুপ, বাংলাদেশ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স এবং ভারতের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স একাডেমী, মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য।

ড. সাহা একজন কৃতী খেলোয়াড়। তিনি ১৯৭২ সালে মাগুরা জেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে রাবি আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় তিনি আন্তঃকলেজ ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও এ্যাথলেটিক্স (১০০ মিটার ¯িপ্রন্ট ও লং জাম্প)-এ সৈয়দ আমীর আলী হল দলে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেন।

অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তিনি রাবির নির্বাচিত সিনেট সদস্য, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, যশোর বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির আঞ্চলিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা সমিতির সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়কের দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি অন্য কয়েকটি পেশাজীবী, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠনের সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যার জনক।

 

ঢাকা, ১৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ