রাবি লাইভ: বিশ্বব্যাংকের উচ্চ শিক্ষা মনোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (হেকেপ)-এর বরাদ্দ অর্থ লুটপাটের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রশাসক প্রফেসর সফিকুন্নবী সামাদীকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে নিজেই ক্যাম্পসলাইভকে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রফেসর সফিকুন্নবী সামাদী ক্যাম্পসলাইভকে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় কিছু লিখা-লিখি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের স্বার্থে আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছে। তাই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।’
পদত্যাগের পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘বিগত কয়েকদিনে তার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় হেকেপের অর্থ দূর্নীতির অভিযোগ এসছে। তাই তিনি অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আমরা সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জুন মাসে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রসাশক প্রফেসর সফিকুন্নবী সামাদীকে এসপিএম (সাব প্রজেক্ট ম্যানেজার) করে হেকেপ ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। প্রশাসক সমাদীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতার বিষয়টি বিগত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে আসে।
এছাড়া তিনি হেকেপের প্রস্তাবনার শর্ত ভঙ্গ করে শহীদুল্লাহ কলা ভবনে তাঁর ব্যক্তিগত ২২১ নম্বর চেম্বারটি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও স্পষ্ট দুর্নীতি।
এদিকে প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ করে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক (ডিএসপিএম) ড. গোলাম মোস্তফা ও হিসাবরক্ষক আগেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়।
ঢাকা, ১৫ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: