রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতির কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে।
বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ইসমাত আরা বেগমের অফিস কক্ষে এই এঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হক একই বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর।
এ বিষয়ে প্রফেসর ইসমাত আরা বেগম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'সে মঙ্গলবার সকালে আমার অফিস কক্ষে তার একটি চিঠি স্বাক্ষর করানোর জন্য নিয়ে আসেন। এসময় আমি তাকে পূর্বের একটি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি এবং তা নাহলে তার চিঠিতে আমি স্বাক্ষর করবো না বলে জানাই। এরই প্রেক্ষিতে সে আমাকে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেবিল চাপড়িয়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া, কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আমাকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালি দেয় এবং পরবর্তীতে লাঠি দিয়ে মারার হুমকি দেয়। ঘটনাটির দৃশ্য কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এর আগে অন্য আরেকজন শিক্ষিকাকেও সে এভাবে গালি দেওয়ায়, ওই শিক্ষিকা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বেশ কিছু দিন থেকে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কুরুচীপূর্ণ ব্যবহার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছেন। গত ১৬ অক্টোবরেও আমার সাথে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করে এবং শুয়োরের বাচ্চা ও পাগল বলে গালি দেয়। সহকারী প্রক্টর হওয়ার পর থেকে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া, তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। এজন্য একাকীত্বতা থেকেও তার আচরণে পরিবর্তন এসে থাকতে পারে।
অভিযোগ প্রশ্নে শিক্ষক ড. হাকিমুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, অভিযোগগুলো সব মিথ্যা। গতকাল সারারাত ধরে আমার একটা প্রজেক্ট রেডি করেছি। আমি একজনের মাধ্যমে আমার প্রজেক্ট পেপারটি স্বাক্ষর করার জন্য তার কাছে পাঠাই। কিন্তু সে আমার চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে তার দায়িত্ব ছিলো তার রুটিন দায়িত্ব পালন করা। তার কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ওইটার ফুটেজ দেখলেই সব বোঝা যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সে আসলে জামায়াতপন্থী একজন শিক্ষক। এর আগে, সে আমার ছুটির দরখাস্ত ফরওয়ার্ড করেননি। আজ আমাদের ডিনের একটা চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। সে আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার সাথে আরো একজন আছেন। এই দুই অসুস্থ লোকের কাজই হলো যেকোনোভাবে একটা ইস্যু তৈরী করা।'
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর সুলতান-উল- ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'এ বিষয়ে কিছুটা শুনেছি। তবে বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। বিভাগের চেয়ারম্যান বা অন্য কেউ এখনও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। বিভাগ থেকে যোগাযোগ না করা পর্যন্ত, এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত না।'
ঢাকা, ০২ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: