Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও চিকিৎসা বিভ্রাট...

অনশনে বসলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবার ২০২২, ২১:০৩

অনশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ফরিদ খান

রাবি লাইভ: সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী এস জেএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সারাদেশে চিকিৎসা সেবা বিভ্রাটের প্রতিবাদে শহীদ জোহা চত্বরে অনশন বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ফরিদ খান।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা চত্বরে সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচী শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরআগে তিনি গতকাল রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনশন কর্মসূচীর বিষয়টি ঘোষণা দেন।

অনশনে নিয়ে ক্যাম্পাসলাইভকে প্রফেসর ফরিদ খান বলেন, চিকিৎসাসেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আজকাল ব্যাপক অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসাপ্রার্থীদের ভোগান্তি আজ চরমে। চিকিৎসা নিতে এসে তারা চরম অসহায় এবং অনিরাপদ বোধ করছেন। চিকিৎসাসেবা পাবার মতো একটি মৌলিক অধিকার অর্জনের সুযোগ একদিকে যেমন অপ্রতুল অন্যদিকে তেমনি অনিরাপদ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের অবহেলা এবং অনীহা প্রকট আকার ধারণ করেছে! দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং ক্ষোভ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, এই চিকিৎসা সংকটের পাশাপাশি বর্তমানে যুক্ত হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীর স্বজনদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি। ডাক্তারদের হাতে রোগীর স্বজনেরা প্রায়ই নিগ্রহের শিকার হচ্ছে যা অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য। তার একটি প্রমাণ রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর চিকিৎসকদের বর্বরোচিত হামলা। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এইসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। এই ঘটনা অন্য সবকিছুর মতো ‘ম্যানেজড’ হলে বা ধামাচাপা পড়ে গেলে, মানবতা এবং নাগরিক অধিকার চরমভাবে নিগৃহীত হবে বলে মনে করি।

ড. ফরিদ বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলাসহ সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম, অবহেলা ও রোগীর স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে এখানে অনশনে বসছি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর আনুমানিক রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এস জে এম শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সযোগে চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত শাহরিয়ারকে সেসময় আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। ঐ ওয়ার্ডে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাকাডাকির প্রায় আধঘন্টা পর চিকিৎসক ও নার্স আহত শাহরিয়ারের কাছে আসেন। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না দিয়ে চিকিৎসক ও নার্স নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহরিয়ারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠী ও বন্ধুরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছায় এবং কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে থাকে।

সেই সময় ৮ নম্বর ও তার আশপাশের ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার, আনসার ও তাদের উচ্ছৃঙ্খল সহযোগীরা ন্যক্কারজনকভাবে শোকার্ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠি এবং শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত ধারালো যন্ত্রপাতি দিয়ে তারা আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থীকে হাতে, পিঠে, মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত শিক্ষার্থীদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্র, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ রাজশাহীর অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ