ঢাবি লাইভ: এবার একটি বিশেষ চক্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মিছিল মিটিং মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে নিহত শিক্ষার্থী মো. গোলাম মোস্তাকিম শাহরিয়ারের লাশ তুলে ময়নাতদন্ত এবং রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশাকে রাবি ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণাকারীদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ’ ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
ওই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থান্বেষী এক গ্রুপ তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তার নামে মিথ্যাচার, গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। এই ধরনের অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা অবিলম্বে কুটূক্তিকারীদের শাস্তি দাবি করছি।
ফজলে হোসেন বাদশা সারাজীবন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে বাংলা ভাই ফজলে হোসেন বাদশার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। ১৯৮০ সালে তিনি রাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। বক্তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ছাত্র শাহরিয়ারের ময়নাতদন্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র কিভাবে মারা গেল আমাদের জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া দরকার।
কারণ আমরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ দুঃখ এবং ঐতিহ্যের চিরসাথী আমরা। দ্রুত তার ময়নাতদন্ত করা হোক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য সাদাকাত হোসেন খান বাবুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাবির প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, কিশোর রায়, তৌহিদুর রহমান, রুচিরা সুলতানা।
এছাড়া শান্তি রঞ্জন সরকার, দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন, আনিসুর রহমান শিবলু, বেনজির আহমেদ, অতুলন দাস আলো, আদিতি আদৃতি সৃষ্টি, মুর্শিদা নাহার, নির্মল হালদার মিলন, আব্দুল আহাদ মিনার, মিনহাজ সেলিম, শাহিনুর রহমান শাহীন প্রমুখ।
গত ১৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মো. গোলাম মোস্তাকিম শাহরিয়ার। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ক্ষুব্দ রাবি শিক্ষার্থীরা ওই রাতে রামেকে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ আনেন। পরে রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন। নিহত শিক্ষার্থীকে নিয়ে গত ২২ অক্টোবর রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, এটা প্রমাণিত।
ছাত্ররা তাকে হত্যা করে তাকে (রামেকে এনেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কবর থেকে মরদেহ তুলে পোস্টমর্টেম করা হোক।’ এই বক্তব্যরে প্রতিবাদে গত ২২ অক্টোবর বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এক মানববন্ধনে ফজলে হোসেন বাদশাকে রাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে ক্যাম্পাসসহ আশেপাশের এলাকায় নানান আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: