Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
প্রক্টরিয়াল বডিকেও দোষারোপ...

'অশোভন আচরণের' অভিযোগ ছাত্রীকে শোকজ

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০৮:০৪

ছাত্রীকে শোকজ

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে ‘অশোভন’ আচরণের অভিযোগে এক ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ওই ছাত্রীকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। তবে অশোভন আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ছাত্রী।

তার দাবি, কয়েকজন বন্ধুসহ তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন জানা গেছে, ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে টহলে অংশ নেন সহকারী প্রক্টর পুরনজিৎ মহলদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাকিমুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হকের সাক্ষরিত শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রী অন্ধকারে সাতজন ছেলে ও একজন মেয়ের সঙ্গে বসেছিলেন। ওই সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিচয় জানতে চাইলে ওই ছাত্রী তাদের সঙ্গে তর্ক ও অসদাচরণ করেন। এছাড়া ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানবেন না’, ‘নিজের মতো চলবেন’ বলেন এবং প্রক্টরিয়াল বডিকে ‘যা পারে তা করতে’ বলেন তিনি
ওই ছাত্রীর এই বক্তব্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলাপরিপন্থী উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি প্রচলিত নিয়মের লঙ্ঘন ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় একতরফাভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গান করছিলাম। অথচ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ওই চিঠিতে সাড়ে ‌১০টার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া ‍‍‍‍‌‌‌‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানবো না’’ বা ‘‘যা করার করেন’’ এমন কোনও কথা বলিনি। বরং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাই আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন।’

ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসোসিয়েট প্রফেসর পুরনজিৎ মহলদার ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আমরা রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে টহল শুরু করি। সাড়ে ১০টার দিকে আমরা মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের সামনে এসে দেখি, সাত জন ছেলে ও দুই জন মেয়ে বসে আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় তখন পুরো এলাকা অন্ধকার ছিল। সাধারণত এ ধরনের গ্রুপগুলোতে বহিরাগতরা থাকে। তাই আমরা ওদের কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাই। তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানায়। এ সময় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখাতে বললে ওই ছাত্রী বলে, সে কার্ড দিতে বাধ্য নয়।’

সহকারী প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমরা তখন ওই ছাত্রীকে হলে থাকে কিনা জিজ্ঞেস করি। সে হলে থাকে বলে জানায়। পরে আমরা ওই ছাত্রীকে রাত অনেক হয়েছে উল্লেখ করে হলে ফিরবে না জানতে চাইলে, ওই ছাত্রী বলে, ‘‘হলে ফিরবো কি ফিরবো না সেটা আমাদের ব্যাপার। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানবো না’।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়েছে। তার জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ব্যবস্থা নেবে।’

শিক্ষার্থীরা কোথায় বসবে বা কোথায় বসবে না, এমন কোনও নিয়ম ঠিক করা আছে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রক্টর বলেন, ‘গভীর রাতে শিক্ষার্থীরা অন্ধকারে আড্ডা দেবে,প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তখন পরিচয় জানতে চাইলে অশোভন আচরণ করবে, এমনকি সহকারী প্রক্টরদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে এমনটা হতে পারে না। তারা এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।'

ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ