Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
রাবিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

''বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন''

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০২২, ২১:১৮

আলোচনা সভা

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে রাবিসাসের সভাপতি নুরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। অনুষ্ঠানে রাবিসাসের সাধারণ সম্পাদক নূর আলমের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় আলোচক অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনা বাঙালি জাতির জন্য বেদনাদায়ক। বাঙালীর চাওয়া পূরণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনেও তিনি সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বেশি ছিল। কিন্তু সংসদে সেই তুলনায় আসন দেওয়া হয়নি। ১৬২ টি আসন ছিল পূর্ব পাকিস্তানে আর ১৩৮টি পশ্চিম পাকিস্তানের। তবে ৭০ এর নির্বাচনে ঢালাওভাবে ভোট দিয়ে এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে জয়ী করে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু পশ্চিমারা তাদের দখল ধরে রাখতে চায় এবং ২৫শে মার্চ রাতে তারা বাংলাদেশের মানুষের উপর আগ্রাসন চালায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও বাঙালী জাতীয়তাবোধ ধারণ করেছিলেন। তিনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বাঙালী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন। তার হৃদয়ে যে বাঙালী জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয়েছিলো তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশকে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তির আকাঙ্খা সৃষ্টি করেছিল। এটা তার অন্যতম কৃতিত্ব। ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক পত্রিকা ঋণাত্মক একটা ধারণা পোষণ করেছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশে অপপ্রচার শুরু করেছিলো। সেই দূর্বলতাকে ধারণ করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো।

আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুফিস্টিক ধারণা প্রবর্তনকারী। বাঙালি জনগোষ্ঠীকে একটি স্বাধীন সত্ত্বায় পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা প্রত্যেকেই সংবিধান পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই সংবিধান পরিবর্তন করেন। বাংলাদেশের ইতিহাস বলতে গেলে বঙ্গবন্ধু একটা নাম।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক তাপস মজুমদারসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসএইচ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ