Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
অনুমোদনহীন ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদের প্রতিবাদ...

রাবিতে সব দোকান-পাট বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০২২, ০০:৫৭

সব দোকান বন্ধ

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অনুমোদনহীন ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল থেকে সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। তবে কোন দোকানীদের দাবি কোন ধরনের নতুন ব্যবস্থাপনা ছাড়াই দোকান উচ্ছেদ নির্দেশনার প্রতিবাদে সব দোকান বন্ধ রেখেছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, পরিবহনের চায়ের দোকান, টুকিটাকির খাবার, চা ও ফাস্টফুডের দোকান, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনের আমতলা চত্বরের চা ও ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ রয়েছে। এদিকে দোকান বন্ধ করে উদ্ভাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন দোকানীরা। শিক্ষার্থীরা দোকান বন্ধ হওয়ায় অনেকেই না খেয়ে ক্লাসে চলে গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তরের নির্দেশনা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চা/পনি/হোটেল/ফাস্টফুড/জুস/সবজি/মুদি/কাপড়ের দোকান পরিচালনা করছেন। তাই ২৫ আগস্টের মধ্যে সকল জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সব দোকান-পাট বন্ধ

দোকানীদের অভিযোগ, কোন ধরনের নতুন ব্যবস্থাপনা ছাড়াই প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আমরা ও শিক্ষার্থীরা উভয়ই বিপাকে পড়েছি। প্রশাসন কিছুদিন পরে পরেই দোকান উচ্ছেদ নির্দেশনা দেয় কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কোন পদক্ষেপ নেয় না। প্রশাসনের এমন ব্যবস্থাপনা আমাদের পেটে লাথি মারার মতো।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, একাডেমিক ভবন থেকে হল ও ক্যাফেটেরিয়া দূরে হওয়ায় সেখানে গিয়ে খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে না। তাই বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে টুকিটাকিতেই খাবার খায় এবং আড্ডা দেয়। আজকে ক্যাম্পাসে সব ভ্রাম্যমাণ দোকান বন্ধ হওয়ায় তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, একাডেমির ভবনের পাশে নতুন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের আগে দোকান উঠানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দোকান উচ্ছেদের পূর্বে দোকানের সঠিক ব্যবস্থাপনা আরো বেশি জরুরী। এছাড়া তাদের আড্ডার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দোকান। ফলে দোকান উচ্ছেদ করলে আড্ডাও বন্ধ হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আমি প্রতিদিন সকালে টুকিটাকি চত্ত্বরে খাওয়া দাওয়া করি। আজকে সকাল ৯টায় ক্লাস থাকায় তাড়াতাড়ি করে ক্যাম্পাসে আসি। কিন্তু এসে দেখি ক্যাম্পাসের সকল দোকান বন্ধ। এদিকে ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়ায় বাহিরে গিয়ে খাওয়াও সম্ভব হয়নি। পরে না খেয়েই ক্লাসে চলে যাই।'

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'ক্লাসের ফাঁকে আমরা ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে বসে চা খেতে খেতে আড্ডা দেই। দুপুরের খাবার বেশির ভাগ সময় টুকিটাকিতে খাওয়া হয়। কিন্তু আজ দোকান গুলো বন্ধ থাকায় বসতেও পারছি না আড্ডাও দিতে পারছি না। ভিন্ন ব্যবস্থা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।'

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রতিনিয়ত দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দোকানীরা কোনো নির্দেশনা না মেনেই ফাঁকা জায়গা দেখে দোকান বসিয়ে দিচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই মূলত এই নির্দেশনা।'

ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এস্টেট দপ্তর এসব বিষয় দেখাশোনা করে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহেদ আলী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আমরা মূলত দোকানের সংখ্যা কমাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তবে দোকানগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনিও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।'

ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম//এসএইচ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ