Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার অভাব...

রাবি ক্যাম্পাসে অনুমোদনহীন ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৫২

ক্যাম্পাসের অনুমোদনহীন ভ্রাম্যমাণ দোকান

সাজিদ হোসেন, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সকল অনুমোদনবিহীন ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কোন নতুন ব্যবস্থাপনা ছাড়াই হুট করে দোকান উচ্ছেদ করা এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্যাম্পাসের দোকানী ও শিক্ষার্থীরা। তবে নতুন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা যায়, একাডেমিক ভবন থেকে হল ও ক্যাফেটেরিয়া দূরে হওয়ায় সেখানে গিয়ে খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে না। তাই বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে টুকিটাকিতেই খাবার খায় এবং আড্ডা দেয়।

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একাডেমির ভবনের পাশে নতুন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের আগে দোকান উঠানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দোকান উচ্ছেদের পূর্বে দোকানের সঠিক ব্যবস্থাপনা আরো বেশি জরুরী। এছাড়া তাদের আড্ডার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দোকান। ফলে দোকান উচ্ছেদ করলে আড্ডাও বন্ধ হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তরের নির্দেশনা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে চা/পনি/হোটেল/ফাস্টফুড/জুস/সবজি/মুদি/কাপড়ের দোকান পরিচালনা করছেন। তাই আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে সকল জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সবুর হাসান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'ক্যাম্পাসে ক্লাসের ফাঁকে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন দোকানে বসে আড্ডা দেই। দুপুরের খাবার বেশির ভাগ সময় টুকিটাকিতে খাওয়া হয়। ভিন্ন ব্যবস্থা না করে এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি এলাকার পাশের এক দোকানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'দীর্ঘ ৬ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে দোকান করছি। হুট করে এমন সিদ্ধান্ত পেটে লাথি দেওয়ার মতো। আমাদের জন্য নতুন কোনো জায়গার ব্যবস্থা না করে এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে দিলে আমরা সেখানেও যেতে রাজি।'

এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চায়ের টং দোকানসহ আরো কিছু দোকানের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে বর্তমানের মতো অপরিকল্পিত ভাবে নয়। সব দোকানের জন্য সুবিন্যস্ত সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুক হক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রতিনিয়ত দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দোকানীরা কোনো নির্দেশনা না মেনেই ফাঁকা জায়গা দেখে দোকান বসিয়ে দিচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই মূলত এই নির্দেশনা।

ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এস্টেট দপ্তর এসব বিষয় দেখাশোনা করে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা অবৈধভাবে দোকান করে আছে তাদের উচ্ছেদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দোকানীরা আবেদন করে অনুমতি সাপেক্ষে দোকান করতে পারবেন।

নতুন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। এসব বিষয় এস্টেট দপ্তর দেখে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহেদ আলী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসে এত দোকান বেড়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যবসা ক্ষেত্রের মতো দেখায়। আমরা মূলত দোকানের সংখ্যা কমাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তবে দোকানগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেন নি।

ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ