রাবি লাইভ: আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যার জন্ম হয়েছে মানুষের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে। শেখ হাসিনার কাছে যদি দেশ নিরাপদ না থাকে তাহলে কার কাছে থাকবে। শেখ হাসিনাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে এ দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.গোলাম সাব্বির সাত্তার। রবিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ প্যারিস রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এসময় ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও ৭৫ সালের খুনিচক্র এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছিল সেটা আমরা জানি। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ৭৫ সালের মতই। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশকে পাকিস্তানি আমলে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলো। তারা ৩রা নবেম্বর নিরাপদ আশ্রয় জেলখানায় চারনেতাকে হত্যা করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরাভূত হয়ে যায়নি। একাত্তরের পরাজিত শক্তিতে প্রতিহত করতে হলে আমাদের আবারো একাত্ব হতে হবে। আজকের এই শোক, শক্তিতে পরিণত হোক।'
প্রো-ভিসি প্রফেসর সুলতান-উল -ইসলাম বলেন, '১৯৭৫ সালে আমাদের দেশকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছে। তারই লক্ষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে। বঙ্গবন্ধু বলেছিল, স্বাধীন দেশকে আর কেউ পরাধীন করতে পারবে না। গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত শহিদদের।'
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, 'একুশ বার সন্ত্রাসী আঘাত এসেছে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের নেতারা ডাল তেরি করে শেখ হাসিনাকে বাচিঁয়েছে। অনেকে বলেছে এই হামলা ভারতের মদোদে হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে এই হামলা করেছে। এখনো অনেক খুনি ধরা ছোয়ার বাইরে। বিএনপির যতসব অপকর্ম আছে তাদের সে স্বপ্নকে ভেঙে ভূলন্ঠিত করতে হবে।'
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এম খলিলুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগকে নিঃশেষ করতে ১৯৭৫ সালে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং সফল হয়েছে। তারা জানে আওয়ামীলীগ আছে ততদিন মনস্কামনা পূর্ণ হবে না। তারা ধমে যাবে এটা ভুলে গেলে চলবে না। তারা ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগকে শেষ করবে। আওয়ামীলীগ হেরে গেলে আমরা দাঁড়াতে পারব না। এজন্য আমাদের একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর হাসিবুল আলম প্রধান, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, সাবেক প্রো ভিসি প্রফেসর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, লায়লা আরজুমান বানু, প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
ঢাকা, ২১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: