রাবি লাইভ: অবশেষে মুক্ত বাতাসে ঋড়লো তারা। প্রাণ খুলে টারটি পাখি উড়ে প্রমাণ করলো মুক্ত জীবনের আলেখ্যান। বিষয়টি ছিলো বেশ জটিল। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বেশ কয়জনের সহায়তায় মুক্ত হলো বিহঙ্গ। বিক্রেতার কাছ থেকে চারটি টিয়া পাখি উদ্ধারের পর রাবি ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর পাখিগুলো অবমুক্ত করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শিদের সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাখি বিক্রির পোস্ট দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সামিমা তাসনীম ও মো. নাজমুল হোসেন ক্রেতা সেজে ওই বিত্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিষয়টি রাজশাহী বনবিভাগকে বিষয়টি অবগত করেন তারা। ওই বিক্রেতাকে ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে পাখি নিয়ে আসতে তারা দুজন ।নুরো জানন। ওই বিক্রেতা পাখি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে বিষয়টি বুঝিয়ে চারটি টিয়াকে অবমুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করা হলে ওই বিক্রেতা রাজি হয়ে যান।
রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর এ বিষয়ে বলেন, এক শ্রেণির অসাধুরা পাখি শিকার করে পরিবেশ নষ্ট করছেন। তার অন্যায়ভাবে এসব করে বেড়াচ্ছেন।এক শিকারি ৪টি টিয়া পাখি বিক্রি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা শিকারিকে আটক করে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করেছি। সারা বছর ধরেই আমাদের এই ধরনের কাজ চলতে থাকে।
এদিকে রাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ রেজা জানান, ক্যাম্পাসে অনেক টিয়া পাখি দেখা যায়। তারা মুক্ত বিহঙ্গ হয়েই উড়ে। আমরা এসব দৃশ্য দেখতে মজা পাই। তবে মাঝে মধ্যে কেউ কেউ তাদের ধরে নিয়ে যায়। আমরা যথাসম্ভব পাখিখিগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করে আসছি অনেক দিন ধরেই।
অবমুক্ত প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এমন কাজগুলো আমাদের উৎসাহিত করে। বন্যপ্রাণীরা অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে সেগুলোকে তারা ঝুঁকি নিয়ে রেসকিউ করে আবার নিরাপদ জায়গায় অবমুক্ত করেন। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা এই মহান কাজ বছর জুরেই করে থাকেন।
ঢাকা, ১৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: