রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলা সমিতি ও ইংরেজি বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় উভয়পক্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা সমিতির এক খেলোয়াড়কে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিক মাহমুদ ধ্রুব। তিনি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী। আহত বাকিরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশর্য, তাকিব, নেহাল ও সাজ্জাদ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল ৪ টায় ময়মনসিংহ জেলা সমিতির ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নামে দুই গ্রুপের একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের খেলা ছিল। কিন্তু মাঠে তাদের খেলোয়াড় আসতে দেরী হওয়ায় ওই সময়ে খেলতে নামে ইংরেজি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। তাদের খেলা শেষ হওয়ার পূর্বেই ময়মনসিংহ জেলা সমিতির সব খেলোয়াড় মাঠে উপস্থিত হয়। পরে একজন অশ্লীল ভাষায় ইংরেজি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগকে খেলা শেষ করতে বলেন।
তাদের খেলা শেষ হলে ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ জেলা সমিতির খেলোয়াড়দের অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় ময়মনসিংহ জেলা সমিতির খেলোয়াড়রা। এ সময় 'ধ্রুব' নামে ময়মনসিংহ জেলা সমিতির এক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর নাকে ঘুষি মারলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সমিতির রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, ' আজকে আমাদের জেলা সমিতির দুই গ্রুপের খেলা ছিল। তখন ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী আমাদের কে বাজে ভাষায় কথা বলেছিল। পরে আমাদের কয়েকজন তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে সেটা থামানো হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ইংরেজি বিভাগের ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৩ থেকে ৪ জন আহত হয়।'
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তাদেরকে রড দিয়ে মেরেছে ময়মনসিংহ জেলা সমিতির খেলোয়াড়েরা। এতে করে তাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আহত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাথে আমাদের বিভাগের একটা প্রীতি ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ চলাকালে 'ময়মনসিংহ জেলা সমিতির' কয়েকজন আমাদেরকে বাজে ভাষায় দ্রুত খেলা শেষ করতে বলেন। পরে আমাদের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এক ভাই তাদের বাজে ভাষার প্রতিবাদ করলে তারা ভাইয়ের সাথে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সেখানে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে তারা স্টেডিয়ামের গেইট বন্ধ করে আমাদেরকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান বলেন, 'প্রক্টর স্যার ঢাকায় থাকার কারণে আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করিনি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। উভয় পক্ষে প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদেরকে প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইপক্ষের দুইজন করে প্রতিনিধির সাথে কথা হয়েছে যাতে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর কোন ঘটনা না ঘটে। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে সমাধান করবো।'
ঢাকা, ১৩ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওটিএম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: