রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৯ সালে আইন বিভাগের তিন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এই তিন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না তা নিয়ে রুল জারি রয়েছে।
এমতাবস্থায় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর নুসরাত সুলতানার পদোন্নতির জন্য আগামীকাল (৪ জুলাই) বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নিয়োগের বৈধতার রুল জারি থাকা অবস্থায় প্রমোশন বেআইনি বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুসাব্বির হাসান রোমান।
রবিবার (৩ জুলাই) পদোন্নতি বোর্ডের সদস্যদের এবিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন আইনজীবী মুসাব্বির হাসান রোমান।
এরআগে শিক্ষক নূর নুসরাতের নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট করেন একই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র নুরুল হুদা।
নুরুল হুদার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলেও আইন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নূর নুসরাত সুলতানা নিয়োগ পেয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের যে কোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু নুসরাত সুলতানা স্নাতকে দ্বিতীয় শ্রেণি ও স্নাতকোত্তরে ৬৩.৩৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন, যা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। তবে তিনি আবেদনে প্রথম শ্রেণি উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া নুসরাত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন লন্ডনের বিপিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি স্নাতকোত্তরে ৬৩.৩৩ শতাংশ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা বি-গ্রেড অর্থাৎ ৩.০০ হয়। এরপরও নুসরাত সুলতানাকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদোন্নতি বোর্ডের এক অধ্যাপক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আদালতের রুল জারি থাকা অবস্থায় পদোন্নতি দেওয়া হলে সেটি অবৈধ হবে। তার পদোন্নতির জন্য নানা জায়গা থেকে তদবির ও চাপ আসছে বলেও জানান এই অধ্যাপক।'
পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি সরকার আলী আক্কাস ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলতে পারবে৷ তবে আগামীকাল রাবির আইন বিভাগের প্রোমোশন বোর্ডে আমার থাকার কথা। কিন্তু আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য হয়তো উপস্থিত থাকতে পারবো না। তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না।'
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুসাব্বির হাসান রোমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'তার নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে এখনো একটি রিট চলমান আছে। অর্থাৎ তার নিয়োগের বিষয়টি আদালত নজরে রেখেছে। এ অবস্থায় তার পদোন্নতি বেআইনি। কারণ ভবিষ্যতে আদালত থেকে তার নিয়োগ অবৈধও হতে পারে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'রুল নিশির বিষয়টা উপাচার্যকে জানিয়েছি। সার্বিক বিষয় যাচাই-বাছাই করে কাল সিদ্ধান্ত হবে।'
ঢাকা, ০৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসএইচ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: