রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ঘটনার প্রায় একমাস পার হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি। অভিযুক্তদের তদন্ত কমিটি বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা।
সোমবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষক আহ্বায়ক ড. আমিরুল ইসলাম, ড. মেসবাউস সালেহীন ও ড. আলী আহম্মদ সৈয়দ মোস্তফা জাহিদ।
তদন্ত বিলম্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, তদন্ত কমিটি এখন অবধি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তবে কী কারণে তারা বিলম্ব করছে তা তিনি জানেন না। ফলে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিরুল ইসলামকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র সভাপতি নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি দ্রুত তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়া পরও কমিটি দিতে পারেনি। কমিটির গড়িমসি স্পষ্টভাবে জানান দিচ্ছে তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের কৌশলে বাঁচার চেষ্টা করছে। অতি দ্রুত সুষ্ঠু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে মাদার বখ্শ হলে বিডি মর্নিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন ইসলামকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন কাজল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। ওই ঘটনার পর কাজলকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় তারা হল প্রভোস্ট ড. শামীম হোসেনের দায়িত্ব অবহেলার জন্য তার পদত্যাগ দাবি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মে ছাত্রলীগের কাজলকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা, ২৭ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসএইচ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: