রাবি লাইভ: ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। গতকাল শুক্রবার (২৪জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার আহম্মেদ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করে গোলাম কিবরিয়া বলেন, গত শুক্রবার (২৪জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া নামে রুহুল আমিনের আনীত অভিযোগ ভিত্তিতে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন। যা আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করে গোলাম কিবরিয়া বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২য় তলার প্রত্যক রুমে বাহিরে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেখানে প্রতিটি রুমে সবাই আবদ্ধ হয়ে পড়ে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমতাবস্থায় শের-ই বাংলা হলের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন খানকে ডেকে রুমের দরজা খোলা হয়। তার আগে হলেী জানালা দিয়ে গোলাম কিবরিয়া ওই ছেলেটিকে নিচ তলায় বাইকের লক ভাঙ্গার চেষ্টা করতে দেখে।
সেসময় স্বাধীনকে দেখে নিচতলা থেকে রুহুল আমিন চলে যায়। তারপর রুমগুলো খোলা হলে গোলাম কিবরিয়া সহ নেতাকর্মীরা তাকে টিভি রহমে খুঁজে বের করে। তাকে সেসময় হলে চলে যেতে বলা হয় এবং প্রক্টরকে অবহিত করা হয়।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, রুহুল আমিনের অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট। এই ছেলেটা পাগল, আরো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
এরআগে, গতকাল শুক্রবার (২৪জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের টিভি রুমে মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুহুল আমিন । তিনি পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার ব্যবহারকৃত মোটরসাইকেলটি তার কাছ থেকে নিয়ে বন্ধক রেখে নেশা করে শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও তার অনুসারীরা। আজ শুক্রবার ভোর রাতে মোটরসাইকেল ফিরত চাইতে এসে সভাপতির রুমের বাইরে থেকে আটকে দেয় রুহুল। অন্য এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে রুমের দরজা খুলে রুহুলকে টিভি রুমে খুঁজে পায় সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এসময় তিনি ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আসাবুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'কোন ছাত্রের গায়ে হাত তোলার অধিকার কারও নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যদি অভিযোগ পাই তাহলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
ঢাকা, ২৫ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: