আবদুল্লাহ আল মামুন, পাবিপ্রবি: প্রতিষ্ঠার পনেরো বছরে পা রেখেছে উত্তরাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। ২০০৮ সালের ৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর পর ২০০৯ সালে ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তারপর দীর্ঘ ১৪ বছরে বিভাগ বেড়েছে ১৭টি, স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেছে ৮টি ব্যাচ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে মাথায় হ্যাট আর গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে ছবি তোলা কিংবা রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদপত্র গ্রহন করার সুযোগ হয়নি কোন শিক্ষার্থীরই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের কাছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দাবি অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের আয়োজনের।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন- “পাবিপ্রবিতে পড়শোনা শেষ করে এখন পর্যন্ত সমাবর্তন না পাওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যাত্রা শুরু করা যবিপ্রবি ২০১৩ সালে ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তারপর ২০১৫ এবং ২০১৮ তে আরো ২টি সমাবর্তন আয়োজন করে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রিব) প্রশাসন একটিও সমাবর্তন আয়োজন করতে পারেনি। আশা করি বর্তমান প্রশাসন এই বিষয়ে মনোনিবেশ করবেন”।
৫ম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ গালিব ক্যাম্পাসলাইভকে জানান- “একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের প্রিয় ক্যাম্পাসে মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের নিকট থেকে সনদ প্রাপ্তির প্রত্যাশা সকল শিক্ষার্থীরই থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করবো নতুন ভিসি মহোদয় অতিদ্রুত সমাবর্তনের আয়োজন করবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন- “বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আল নকীব চৌধুরী থাকাকালীন সময়ে সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে সেই উদ্যোগ আর সামনে অগ্রসর হয়নি। পরবর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী থাকাকালীন সময়েও শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। সমাবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে কিন্তু করোনার কারণে সেই সমাবর্তনের উদ্যোগ আটকে যায়।”
সমাবর্তন প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন- "সমাবর্তন আয়োজন করা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেহেতু প্রথমবার সমাবর্তন হবে সেক্ষেত্রে আমাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীদের ভালো একটা সমাবর্তন উপহার দেওয়া। সমাবর্তন আয়োজন নিয়ে আমরা অতি শীগ্রই পরিকল্পনা গ্রহন করবো।”
একই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন- “এবার সমাবর্তন করার নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। শুরুতে এসে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। আমরা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্য সমাবর্তন আয়োজনের কাজ হাতে নিবো”।
ঢাকা, ১৬ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: