Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবিতে রাবি শিক্ষকদের কলম বিরতি!

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ০৩:১৭

প্রতিকী কলম বিরতি

রাবি লাইভ: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য ঘোষিত ইনক্রিমেন্ট স্থগিত রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতিকী কলম বিরতি কর্মসূচির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানায় তারা।

এসময় স্থগিতকৃত ইনক্রিমেন্ট শীঘ্রই চালুর দাবি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্মানিত ও গবেষণায় উৎসাহিত করতে দুটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার দাবি জানায় শিক্ষকরা।

কর্মসূচিতে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর হাসনা হেনা বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষকবান্ধব এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কেনো আমাদের অর্জিত অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হলো! এটা আমাদের প্রশ্ন। ইউজিসি যে ইনক্রিমেন্টটা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা দাবি জানাচ্ছি সেটা শীঘ্রই চালু করা হোক। পাশাপাশি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, আমাদের যেখানে একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো, সেখানে আমাদের শিক্ষকদের সম্মানিত ও গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য দুটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হোক। আর যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধকৃত ইনক্রিমেন্ট চালু না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর সাহেদ জামান বলেন, আজকে আমাদের ক্লাসে থাকার কথা, কিন্তু আমরা কলম বিরতি করতে বাধ্য হচ্ছি কেনো? এই প্রশ্ন আমরা জাতির কাছে রাখতে চাই। আমাদের শিক্ষকদেরকে প্রায়ই রাস্তায় নামতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বৈরাচারী পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হয়েছি। এখানে আমাদের সকল নাগরিকের প্রাপ্যটা যথাযথভাবে পাওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের শিক্ষকদেরকেও দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক।

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ইনক্রিমেন্ট এটি শিক্ষকদের আর্থিক নয়, আমি বলব মর্যাদার সঙ্গে জড়িত। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সামনে অনেকরকম বিকল্প পথ থাকে তার কর্মজীবন তৈরি করার জন্য। একজন শিক্ষক যখন ছাত্র ছিলেন তখন সর্বোচ্চ রেজাল্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নিয়েছেন। এটি জাতি, সমাজ এবং নিজের কাছে একটি অঙ্গিকার। তারা মূলত নিজের মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ পেতে এবং জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে এখানে আসেন।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা, ১৪ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ