Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com
অসহায় প্রভোস্ট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তুলেন প্রভোস্ট, নামিয়ে দেয় ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ০৪:১৩

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাবের হোসেন

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে চলছে তোলপাড়। আলোচনা আর সমালোচনার যেন কমতি নেই। হল ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিন ইসলামের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে এই অভিযোগ। সোমবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের ৪২৬ নম্বর কক্ষ থেকে বিছানাপত্র সিট থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাম জাবের হোসেন। তিনি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কদিন পূর্বে প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে ৪২৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন জাবের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ঘুম থেকে তুলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী গিয়ে জোরপূর্বক জাবেরের বিছানাপত্র বেড থেকে নিচে ফেলে দেন। অভিযুক্ত সকলেই হল সভাপতি মোমিন ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী জাবের অভিযোগ করে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘গতরাতে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ঠিক তখন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আসে। আমাকে ডেকে তুকে বেড সহ সবকিছু ফেলে দেয়। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, এটা পলিটিক্যাল সিট, এখানে তুমি থাকতে পারবা না। এখনই সিট থেকে নেমে যাবে। আমার সিটে ফাস্ট ইয়ারের আরেক শিক্ষার্থীকে তুলবে এটাও জানায়।

জাবের আরো বলেন, ‘আমি আমার আবাসিক কার্ড দেখালে তারা বলেন, এসব কার্ড দেখিয়ে কোনো লাভ নাই। প্রভোস্ট তোমাকে উঠিয়েছে, তার কাছে যাও। আমাদের কাছে বলে কোনো লাভ নেই। ঘটনার পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিন ভাই আমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলেন, এটা রাজনৈতিক সিট। এ সিটের আশা তুমি করো না। রাজনৈতিক সিটে তুমি বরাদ্দ কেমনে পাও? তুমি এসব কথা প্রভোস্টকে গিয়ে বলো। তখন আমি প্রভোস্টকে বিষয়টি জানাই। তিনি সেই এপ্লাইড ম্যাথম্যাটিকসের ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে সিটে না ওঠার জন্য বলেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল সভাপতি মোমিন হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘সিটটা পলিটিক্যাল, দীর্ঘদিন আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু প্রভোস্ট নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। যেসব সিটে আমাদের পলিটিক্যাল নেতাকর্মীরা আগে থেকেই ছিলেন তাদের সিট বরাদ্দ না দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলে দিচ্ছেন। আমরা স্যারকে অনেকবার বলার পরও তিনি পলিটিক্যাল সিটগুলোতে নতুন করে বরাদ্দ দিচ্ছেন।’

হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. জাহিদুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন , ‘ছেলেটার বিষয়ে জানি। কাল রাত থেকে সমাধানের চেষ্টা করছি। নতুন ছেলের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। তাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ এবারও করবো।


ঢাকা, ১৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ