রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হলে এক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বের করে দেয়া এখলাম উদ্দিন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হচ্ছেন- মাদার বখশ হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফাতের অনুসারি।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় হলের ৩৩৩ নাম্বার কক্ষে এ শিক্ষার্থীর সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ পূর্বে মাদার বখশ্ হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে উঠে এখলাস নামে ঐ শিক্ষার্থী। হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে হওয়ায় তার পড়াশোনা খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সারোয়ার আলমের রেফারেন্স ও প্রভোস্ট শামিম হোসেন সাথে কথা হলে উঠেছে বলেও জানান তিনি।
তার অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল বেলা ৩ টার সময় ২০৮ নাম্বার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় হবিবুর রহমান হলের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু। তখন আমার কাছে ডাবল কক্ষের সিটের রেইট জানিস? ৭-৮ হাজার টাকা। আমরা কিছুই দেখিনা সিট খালি হলে শুধু টাকা দেখি। টাকা ছাড়া থাকা যাবেনা থাকলে ঝামেলা হবে এসব বলে যদি ফোর সিটে যাও তাহলে রেইট একটু কমে যাবে। আর এসব নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবিনা। এসব ওদের জানালে সমস্যা হবে।
এরপর আজ বুধবার রাতে সোহেল রানাসহ ছাত্রলীগের ১৫জন নেতাকর্মী রুমে এসে সরাসরি বেড নামিয়ে দেয়। সেসময় বেড নামিয়ে দিতে বাঁধা দেয়ায় আমার গায়ে হাত দেয়। তারপর ওই ছেলেকে তুলে দিয়ে আমার বেড নিচে ফেলে দেয়।
ছাত্রলীগের মাধ্যমে সিটে উঠা ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমার হলের আবাসিকতা আছে। অনেকদিন ধরে সিট খুঁজছি। প্রভোস্টের সাথে কথা বলে আমি উঠেছি। আপনারা প্রভোস্টের সাথে কথা বলেন।
টাকার বিনিময়ে হলে উঠানোর অভিযোগের বিষয়ে হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমার মাদার বখশ হল নিয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আপনাদের কাছে যদি প্রুফ থাকে তবে আপনারা নিউজ করতে পারেন।'
মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফাত ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'যে ছেলেটা ওঠেছে ও অনেক দিন ধরেই সিট খুঁজছে। ছাত্রলীগ মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ওই ছেলেকে সিটে উঠতে সহযোগিতা করেছে।'
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি ওদের সাথে কথা বলছি। যদি শিক্ষার্থীকে জোর করে নামিয়ে দেয়া বা মারধরের ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।'
হলের সিট থেকে শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয়ার মাদার বখশ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর শামীম হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আমি এ বিষয়টা আগামীকাল দেখব। এখন কিছু বলতে পারছি না।'
ঢাকা, ০৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: